২১ মার্চ, ২০১৬ ১০:২২

মোহালির আকাশে আশার আলো খুঁজছেন আফ্রিদিরা

অনলাইন ডেস্ক

মোহালির আকাশে আশার আলো খুঁজছেন আফ্রিদিরা

তিনশো কিলোমিটার দূরেই নাকি চলছে তাদের মুণ্ডপাত। ওয়াঘার ওপারে। জ্বলছে কুশপুতুল। পদদলিত হচ্ছে তাদের ছবি। সে খবর নিয়েই রবিবার দুপুরে ওয়াঘার এ পারে এসে নামলেন শহীদ আফ্রিদিরা। ঘুমঘুম চোখে। কলকাতা থেকে কাকভোরের বিমান ধরে। তবে এসে যা দেখলেন, তাতে তাঁদের ঘুম ভাঙানোর রসদ আছে ষোলো আনা।

চণ্ডীগড় এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে সোজা টিম বাসে ওঠার সময় যে ঠাণ্ডা, দমকা হাওয়া গায়ে এসে লাগল ওয়াহাব রিয়াজ, ইরফান খান, মোহাম্মদ সামি, মোহাম্মদ আমিরদের, তাতে তাদের হাত নিশপিশ করাটাই স্বাভাবিক।

সোমবার আর্দ্র আবহাওয়া বিকেলে আমিররা অনুশীলন করতে গিয়ে দেখেন মাঠের মাঝখানের বাইশ গজেও ঘাস আছে বেশ খানিকটা, চিফ কিউরেটর দলজিত সিংহ যদি তাদের বলে দেন, ঘাসটা থাকবে, তা হলে তো কথাই নেই। আমির, সামিদের মুঠো আর আফ্রিদির চোয়াল শক্ত হয়ে উঠবে নিশ্চয়ই। দলজিত জানান, ‘‘এখানকার উইকেট এখন পুরনো হয়ে গিয়েছে। তাই ঘাস ছেড়ে রাখতেই হবে। ঘাস তুলে দিতে গেলে উল্টোপাল্টা টার্ন হবে। সেটা আমি চাই না।’’ কয়েক মাস আগে তিন দিনে শেষ হওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের অভিজ্ঞতার কথা এখনও যে ভোলেননি, বোঝাই যাচ্ছে।  

এই শহরেই শেষ দুটো ম্যাচ আফ্রিদিদের। যা তাদের লাইফলাইন হয়ে উঠতে পারে। আবার বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের রাস্তাও পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে এই দুই ম্যাচেই। এ রকম একটা সময়ে এমন কন্ডিশনের কথা জেনে তাই কিছুটা হলেও আশাবাদী পাক শিবির।

আফ্রিদিদের টিম হোটেলের আধ কিলোমিটার দূর থেকেই বোঝা যাচ্ছে পাঁচতারা হোটলকে পুরো দূর্গ বানিয়ে ফেলা হয়েছে। কলকাতায় এক সপ্তাহ থাকা পাক দলের জন্যও নিরাপত্তার এই বহর দেখা যায়নি। শোনা গেল, তিন দিন আগে নাকি গোয়েন্দা সূত্রে খবর এসেছে মোহালিতে আফ্রিদিদের টিম বাসে বা হোটেলে হামলা করার ছক কষছে এক জঙ্গি সংগঠন। সেই ছক ফাঁস হতেই নিরাপত্তার বহর পাঁচ গুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাক ক্রিকেটারদের নিজেদের ঘর থেকে নড়াচড়া করাই নাকি বন্ধ। শুধুমাত্র প্র্যাকটিস ও ম্যাচের সময় ছাড়া।

এই পাহাড়প্রমাণ নিরাপত্তাবলয় না হয় হোটেল ও মাঠের বাইরে। কিন্তু মঙ্গলবার মোহালিতে যখন মাঠে নামবেন সরফরাজ, সার্জিলরা, তখন গাপটিল, অ্যান্ডারসন, টেলর, ম্যাকক্লেনাঘান, সোধিদের হাত থেকে তাদের কে বাঁচাবে?

সেই যুদ্ধে ঠিকঠাক গোলাগুলি চালাতে না পারলেই তো সব শেষ।   


সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


বিডি-প্রতিদিন/ ২১ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর