৩ এপ্রিল, ২০১৬ ১৫:২৭

৮৭'র বিশ্বকাপের 'বল' বয় আজ সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক

৮৭'র বিশ্বকাপের 'বল' বয় আজ সভাপতি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা। আজ রবিবার এই শহরের ইডেন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। এমন একটা ম্যাচের আয়োজক হয়েও কলকাতাবাসীর মন খারাপ। দুটি কারণে। ফ্লাইওভার দুর্ঘটনা। অন্যটি ওয়াংখেড়েতে টিম ইন্ডিয়ার বিদায়। দুটি কারণেই কলকাতার ম‍ন ভাল নেই। কলকাতাবাসী ভেবেছিল, রবিবার বিকেল থেকেই ইডেনে জড়ো হবে ধোনি-কোহলিদের ফাইনাল দেখতে। কিন্তু তা হল না। স্বপ্নভঙ্গ কলকাতার। অলৌকিকভাবে দুটি ঘটনায় ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার।

রবিবারের আগে কলকাতায় বিশ্বকাপ ফাইনালের আসর বসছে একবারই। ’৮৭ সালে ইডেনে। অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ উঠে ছিল অ্যালান বর্ডারের হাতে। তারপর আবার ৩ এপ্রিল, ২০১৬। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার ক্রিকেটীয় মুকুটে নয়া পালক সংযোজিত হতে চলেছে। সেই ’৮৭–তে ফাইনালে যিনি বলবয় ছিলেন তিনি এখন সিএবি'র (ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বেঙ্গাল) সভাপতি। তিনি সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। একাই সব কিছু সরজমিনে দেখেশুনে ফাইনালের আগে চূড়ান্ত করছেন। সেদিনের বল বয় এখন দায়িত্ববান সভাপতি। 

হাসছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ‘তখন আমি সত্যি বলবয় ছিলাম ফাইনালে। তখন সামনে থেকে মাঠের মধ্যে বিশ্বের তাবড় তাবড় ক্রিকেটারকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। অন্যরকম অনুভূতি। তারপর আমি অবশ্য দেশের হয়ে খেলেছি অনেক বছর। এখন আমি সভাপতি। আমার অনেক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে ফাইনালে। আশা করছি ভাল ম্যাচ দেখতে পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।’

কী হতে চলেছে ফাইনালে? যা ঠিক ছিল সেগুলোই হবে। অর্থাৎ ছেলেদের ফাইনাল শুরু হওয়ার আগে মিনিট পাঁচেকের একটা অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরা। তবলা বাদক বিক্রম ঘোষের উপস্থাপনায়। তারপর ইডেনের নয়া জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হবে প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়াকে নিয়ে তথ্যচিত্র। কলকাতায় ফ্লাইওভার দুর্ঘটনার পর শোনা গিয়েছিল ইডেনে ফাইনালের আগে কোনোরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না। কিন্তু আইসিসি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে বলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। 

সৌরভ বলছেন, ‘ফ্লাইওভার দুর্ঘটনায় আমি নিজেই মর্মাহত। শোকাহত। কিন্তু আইসিসি আগে থেকে ঠিক করে রাখায় ছোট করে অনুষ্ঠান হবে।’ পাশাপাশি সৌরভ নিজে ফাইনালের দুই দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডকে অনুরোধ করেছিলেন যেন ফাইনালে দুটো দলই কালো ব্যান্ড পরে নামে। কিন্তু আইসিসি থেকে এখনও চূড়ান্ত অনুমতি মেলেনি। মিললেও তা ম্যাচের দিন সকালে ছাড়া মিলবে না বলেই জানা গেছে। 

ইডেনের বাইশ গজ ও আলো নিয়ে চূড়ান্ত সর্তকতা চলছে। সৌরভ নিজে ভাল করে বিষয়গুলো বুঝে নিয়েছেন। বিশ্বস্তদেরই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ইডেনের ফ্লাডলাইটের আলো নিভে যায়। যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে স্বয়ং সৌরভের সর্তক দৃষ্টি। ভারত ইডেনে না খেললেও টিকিটের চাহিদা কিন্তু কমেনি। কমপ্লিমেন্টারি টিকিটের চাহিদাই বেশি। মেয়েদের এবং ছেলেদের দুটো ফাইনাল দেখতে ইডেন কি ভরবে? সিএবি কর্মকর্তারা বলছেন, স্টেডিয়ামে ভালই দর্শক হবে। হয়ত পরের দিকে ভরেও যেতে পারে ইডেন। 

রবিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বিকেলের দিকে হালকা ঝড়–বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইডেন চলতি বিশ্বকাপেই দেখেছে বৃষ্টি হলেও মাঠ ঢেকে রাখার এত ভাল ব্যবস্থা করা হয়েছে যে মাঠ শুকিয়ে মুহূর্তের মধ্যে খেলার উপযুক্ত করে ফেলা যায়। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য প্রস্তুত ইডেন। সবই তৈরি। কিন্তু ভারতই শুধু নেই।

সূত্র: আজকাল ‌‌‌‌

বিডি-প্রতিদিন/০৩ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর