শিরোনাম
১১ মে, ২০১৬ ১০:৪০

যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসি, ঢাকার রাস্তায় বিজয় মিছিল

অনলাইন ডেস্ক

যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসি, ঢাকার রাস্তায় বিজয় মিছিল

ভারতীয় সময় রাত ১১টা ৩১ মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হল বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই নিয়ে ফাঁসি হল পাঁচ রাজাকারের। নিজামি হলেন সরকারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা তৃতীয় ব্যক্তি, যাঁকে দাঁড়াতে হল ফাঁসির পাটাতনে।

৪ দশক আগে তার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে আল বদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়ন করে। তার বিরুদ্ধে ওঠে একাধিক অভিযোগ। পাবনার বাউশগাড়ি সহ ৩টি গ্রামের প্রায় ৪০০ জনকে হত্যা। ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ। পাবনার ধূলাউড়ি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বার করে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৫২ জনকে হত্যা। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের উষালগ্নে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা। 

মানবতা-বিরোধী এই জঘন্য অপরাধে প্রাণদণ্ডই তার একমাত্র সাজা হতে পারে বলে রায় দেয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। দিনটা ছিল ২০১৪ সালে ২৯শে অক্টোবর। তারপর দীর্ঘ আইনি লড়াই। মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পূনর্বিবেচনার আবেদন গত পাঁচই মে খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপর নিজামির কাছে খোলা ছিল একটিই মাত্র রাস্তা। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন। কিন্তু তিনি সে রাস্তায় হাঁটেননি বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

এরপরেই শুরু হয়ে যায় যুদ্ধাপরাধী নিজামির ফাঁসির তোড়জোড়। শেষ দেখার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেকে পাঠানো হয় তার পরিজনদের। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত পৌনে আটটায় নিজামীর সঙ্গে দেখা করেন তার স্ত্রী, দুই ছেলে এবং অন্য আত্মীয়রা। স্থানীয় সময় রাত ১২টা বেজে ১০ মিনিটে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিজামির ফাঁসি কার্যকর হয়। 

নিজামির ফাঁসির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চে। ঢাকার রাস্তায় হয়েছে বিজয় মিছিল।

গভীর রাতে তার কফিনবন্দি দেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপদহ ইউনিয়নের মন্মথপুর গ্রামে। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে কবর দেওয়া হয়।

সূত্র: জি ২৪

 

বিডি প্রতিদিন/ ১১ মে, ২০১৬/ হিমেল-০৯

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর