৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৮:১২

'ভারত-পাকিস্তানকে না ছুঁয়ে চল লন্ডনে', বার্তা চিনের বিমানে

অনলাইন ডেস্ক

'ভারত-পাকিস্তানকে না ছুঁয়ে চল লন্ডনে', বার্তা চিনের বিমানে

‘ভারতীয়দের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চল। যে যতটা পার। লন্ডনের যেখানে সেখানে।’

চিনাদের উদ্দেশে এই ‘সতর্ক বার্তা’ জারি করা হয়েছে ‘এয়ার চায়না’র বিমানে।বিমানে যাত্রীদের পড়তে যে ম্যাগাজিন দেওয়া হয়, তাতে একেবারে ছাপার অক্ষরে বলে দেওয়া হয়েছে, ‘‘ভারতীয়, পাকিস্তানি আর কালো মানুষজনকে এড়িয়ে চল লন্ডনের সর্বত্র। যে যতটা পার। ওই সব দেশের (ভারত, পাকিস্তান) মানুষ লন্ডনের যে যে এলাকায় থাকে, যাওয়া-আসা করে, সেই সব জায়গায় যাওয়ার দরকার নেই। বাকি লন্ডন ঘুরে দেখায় আর কোনো অসুবিধা নেই।’’

কূটনীতিকদের বক্তব্য, প্রতিবেশি দেশ ভারতকে এখনও কী চোখে দেখে বেইজিং, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল চায়না এয়ারলাইন্স। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ভারত বিদ্বেষ, জাতিবিদ্বেষ আর বর্ণবিদ্বেষ সব কিছুই মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে কমিউনিস্ট চিনে।

‘এয়ার চায়না’র ম্যাগাজিনে ছেপে বেরনো ওই সতর্ক বার্তা চোখে পড়ে এক মহিলা সাংবাদিকের। সঙ্গে সঙ্গে ওই সাংবাদিক হাঝে চান ছবি সহ সেই ‘সতর্ক বার্তা’টি সটান টুইট করে পাঠিয়ে দেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে। আদ্যোপান্ত ব্রিটিশ নাগরিক হলেও লন্ডনের মেয়রের মা ও বাবা দু’জনেই পাকিস্তানি। এখনও তাঁদের নাগরিকত্ব পাকিস্তানেরই। টুইটে সাংবাদিক হাঝে চান লিখেছেন, ‘‘যাত্রীদের দেওয়া এই পরামর্শটি (‘এয়ার চায়না’র সতর্ক বার্তা) সম্ভবত লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে বেশ বিব্রত করবে। যিনি নিজে আদ্যোপান্ত ব্রিটিশ নাগরিক হলেও তাঁর মা ও বাবা দু’জনেই পাকিস্তানের নাগরিক। লন্ডনের মেয়র মাঝে-মধ্যেই ব্লগে লেখেন, দক্ষিণ লন্ডনের টুটিনে ভারতীয় ও পাকিস্তানিদের রেস্তোরাঁগুলিতেই তিনি খানপিনা করতে ভালোবাসেন।’’

ওই সাংবাদিক চিনা সংস্থাগুলির বিজ্ঞাপনেও বর্ণবিদ্বেষের ছাপ থাকায় যথেষ্টই বিব্রত বোধ করেছেন। লিখেছেন, ‘‘গত মে মাসে লন্ড্রির ডিটারজেন্ট বানায় এমন একটি চিনা সংস্থা তাদের বিজ্ঞাপনে দেখিয়েছিল, ওয়াশিং মেশিনে একটি কালো রঙের মানুষকে ঢুকিয়ে তাকে ওই ডিটারজেন্ট দিয়ে সাফ করে নিচ্ছেন এক এশীয় মহিলা। ওই বিজ্ঞাপনের জন্য চিনা সংস্থাটিকে অবশ্য পরে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।


বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর