২ এপ্রিল, ২০১৭ ১৫:৫১
খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

পারমাণবিক বন্ধনে বাংলাদেশ-ভারত-রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক

পারমাণবিক বন্ধনে বাংলাদেশ-ভারত-রাশিয়া

শিল্প কারখানায় বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়াতে বিকল্প পথ হিসেবে পরমাণু বিদ্যৎকেন্দ্র নির্মাণের পথ খুঁজছে বাংলাদেশ। আর এক্ষেত্রে একই সঙ্গে ভারত-রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশ-ভারতের পরমাণু সহযোগিতা পরিধি বাড়াতে দু'দেশ আরও একটি চুক্তিতে সই করবে। তার জন্য রাশিয়ার সম্মতির দরকার নেই। কারণ আগেই রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। আর এই তিনটি দেশই একই সঙ্গে পরমাণু শক্তির নবতর বিন্যাসে কাজ করবে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিল্পোন্নয়নে পা বাড়িয়েই সত্যিটা উপলব্ধি করেছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বৃদ্ধিতে মরিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতটা পারছেন বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। উৎপাদন কেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে আগে গ্যাসটাই ব্যবহার করা হত। তাতে সবচেয়ে সুবিধা ছিল পরিবেশ সুরক্ষায়। দূষণের ভয় থাকত না। নতুন নতুন কারখানায় হু হু করে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। এতে করে জ্বালানিতে টান পড়ছে। জোগান দেওয়ার মতো অত গ্যাস না থাকায় বাধ্য হয়ে কয়লা ব্যবহার করা হচ্ছে। তাতে বিতর্ক কম নয়। দূষণের প্রশ্ন উঁকি মারছে। তার উত্তর দিতে পারে বিশ্বই। শুধু ইউরোপ, আমেরিকায় নয়, দুনিয়ায় বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চলে কয়লায়। পরিবেশ বাঁচিয়েই কাজটা চলছে। অন্য জ্বালানির থেকে কয়লার সরবরাহই বেশি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাঁচামাল হিসেবে কয়লাই সবার আগে।

এখন কয়লাতেও হচ্ছে না। দরকার কম খরচে আরও শক্তিশালী জ্বালানি। তাতে পরমাণু শক্তির বিকল্প নেই। বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। উৎপাদন চড়চড়িয়ে বাড়বে। তাতেও যে বিদ্যুৎ চাহিদা শেষ হবে, তাও নয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্র যত জ্বালানি পাবে, তত চাইবে। শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুতের অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক। বিদ্যুৎ তো আকাশ থেকে ঝরে না, মাটিতে তৈরি করতে হয়। বাংলাদেশ তাই করছে। চাইছে দেশের তরুণরা ভারতের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজটা করুক। প্রযুক্তি জানলে সহজ নইলে জটিল। ভারতের তামিলনাড়ুর কুড়ামকুলামে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শিক্ষার্থী পাঠাতে চাইছে বাংলাদেশ। তারা হাতে কলমে কাজটা শিখে বাংলাদেশে প্রয়োগ করতে পারবে।

খবরে আরও বলা হয়েছে, পরমাণু শক্তির অসামরিক ব্যবহারে ভারত-রাশিয়া চুক্তি হয়েছে ২০১৪ সালে। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তৃতীয় শক্তি হিসেবে বাংলাদেশকে কাছে টানা যেতে পারে। রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছে ২০১০ সালে। পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারই তার উদ্দেশ্য। ভারত-রাশিয়া-বাংলাদেশের আর ত্রিপাক্ষিক চুক্তির দরকার নেই। ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে পরমাণু প্রকল্পের পরিকাঠামো গড়ার কাজ শেষ করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ-ভারতের পরমাণু সহযোগিতা পরিধি বাড়াতে দু'দেশ আরও একটি চুক্তিতে সই করবে। তার জন্য রাশিয়ার সম্মতির দরকার নেই। তিনটি দেশই একই সঙ্গে পরমাণু শক্তির নবতর বিন্যাসে কাজ করবে। হাসিনার ভারত সফরে প্রধান কাজ দু'দেশের পরমাণু প্রকল্পে হাত ধরে চলার গ্যারান্টি। যাতে পাশে থাকবে রাশিয়াও।

বিডি-প্রতিদিন/০২ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর