বিশ্ববাসীর সামনে রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরার অপরাধে দুই সাংবাদিককে কারাদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমার আদালত। এই পরিস্থিতিতে ওই দুই সাংবাদিকের পক্ষে মত দিয়েছেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি।
সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা থাকা উচিত মনে করলেও তার দাবি, সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের দায়ে আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
গত সপ্তাহে সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও ক্যাও সো য়ু (২৮)-কে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর সেনাবাহিনীর অত্যাচারের তথ্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার অভিযোগ আনা হয়েছে। যা সরকারি গোপনীয়তা আইনের পরিপন্থী।রোহিঙ্গা সমস্যা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী সু চি-র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে।
নিজের দেশে শান্তি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তিনি কেন চুপ করে রয়েছেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সেই প্রশ্ন তুলা হয়। যদিও কোনও পরিস্থিতিতেই মুখ খুলেননি তিনি।
এমনকি দুই সাংবাদিকের কারাদণ্ড হওয়ায় সু চি-র বিরুদ্ধে সমালোচনা আরও তীব্র হয়। এর পরেই মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেন সু চি।
এদিকে, সু চি-র মন্তব্যে বিশেষ আশার আলো দেখছেন না কূটনীতিবিদরা। তারা মনে করছেন, জুন্টার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারবেন না কাউন্সিলর। শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে গেলে গদি হারাতে হবে তাকে। ফলে এই মুহূর্তে সমস্যার কথা স্বীকার করলেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরার পালা ফিকে হয়ে যাবে।
অন্যদিকে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে সু চি-র নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি। তবে এনিয়ে নোবেল কমিটির বক্তব্য, পুরস্কার জয়ের পর কে কী করছে তা দেখা এবং পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া তাদের কাজ নয়।
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।-সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/আরাফাত