৩ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:৩৪

জনপ্রিয় হচ্ছে পুষ্টিবাগান

দিনাজপুর প্রতিনিধি

জনপ্রিয় হচ্ছে পুষ্টিবাগান

প্রতি ইঞ্চি কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে পারিবারিক সবজি ও পুষ্টিবাগান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। 

মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাড়ির আঙিনা ও আশপাশের পতিত জমিতে সবজি চাষ করে যেমন পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে তেমনি চাষিরা আর্থিক লাভবানও হচ্ছেন। 

কৃষি বিভাগের সহায়তায় তৈরি হওয়া এসব পারিবারিক পুষ্টিবাগান দেখে খানসামা উপজেলায় অনেকেই এখন ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন সবজি-পুষ্টিবাগান। এতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

খানসামা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে গত বছর ১০ জনকে নিজের বাড়ির আশাপাশে সবজি-পুষ্টিবাগান স্থাপনের লক্ষ্যে পুঁইশাক, কলমিশাক, ডাঁটা, বেগুন, মুলা, বরবটি, ঝিঙা, পালংশাক, লাউ, শিম, মিষ্টি কুমড়া, করলাসহ ১৭টি সবজির উন্নতমানের বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। চাষাবাদের জন্য জৈব ও রাসায়নিক সার এবং বেষ্টনী বাবদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 

সবজি চাষ সম্ভব এমন রৌদ্র্যজ্জ্বল স্থান নির্বাচন করে বাগানের আশাপাশে বেষ্টনী দিয়ে কৃষক তৈরি করেছেন আকর্ষণীয় সবজি-পুষ্টিবাগান। এসব বাগানে প্রয়োজনীয় ও পরিমাণ মতো সার ব্যবহার করছেন কৃষকরা। প্রতিটি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ প্রদান ও সবজি বাগান পরিদর্শন করেন।

খানসামা উপজেলার কাচিনীয়া গ্রামের কৃষক অনিল চন্দ্র রায় বলেন, নিজের পতিত জমিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ করেছি। এতে জমির যেমন সঠিক ব্যবহার হয়, তেমনি পরিবারের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হচ্ছে, আবার অতিরিক্ত বিক্রি করে লাভবানও হওয়া যায়। 

খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, বাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান তৈরিতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এসব জমিতে বীজ রোপণ করে কৃষকের বাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমি সবুজে সমারোহ। এ সবজি কৃষকদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে এতে তারা আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর