৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৪৮

বসতভিটায় বাবুর শখের বাগান

নাটোর প্রতিনিধি

বসতভিটায় বাবুর শখের বাগান

বসতভিটায় বাবুর শখের বাগান।

বসতভিটায় ফল, ফুল ও ঔষধি গাছের বাগান করে সফলতা পেয়েছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার সবুজ আহমেদ বাবু। প্রায় এক বিঘা জায়গায় তার শখের বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি ৩৪ ধরনের ফল গাছ। কয়েক ধরনের মসলা গাছ, ফুল গাছ ও ঔষধি গাছ। তার এই বাগান দেখে উৎসাহী হচ্ছেন অনেকেই।

সিংড়া পৌর শহরের চকসিংড়া মহল্লার আয়চাঁন আলী প্রামাণিকের ছেলে সবুজ আহমেদ বাবু। সিংড়ার দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বাবার ব্যবসা আর জমিজমা দেখাশোনার পাশাপাশি ২০১৬ সালে নিজের বসতভিটায় বাগান শুরু করেন তিনি।

স্থানীয় কয়েকটি নার্সারি, নাটোর, বগুড়া, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তিনি দেশি-বিদেশি ৩৪ প্রজাতির প্রায় ৮৫টি ফল গাছ, ফুল, মসলা ও ঔষধি গাছ সংগ্রহ করে বাগান তৈরি করেছেন। এরপর থেকে তার নিরলস প্রচেষ্টায় ৫ বছরে বাগানে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য ফল।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আমড়া স্বদেশী, আমলকি, আম, জাম, কাঁঠাল, বনকাঁঠাল, লেবু স্বদেশী, লেবু চায়না, লটকন, লিচু, বাদামি লেবু, বড় বেল, ছোট বেল, পেয়ারা, বড়ই, শরিফা, আতা, কমলা চায়না, জাম্বুরা লাল, ডালিম ভিয়েতনাম, বেদেনা পাকিস্তান, অরবরি স্বদেশী, তেঁতুল মিষ্টি সৌদি আরব, গাব কোরিয়া, খেজুর আজুয়া-মরিয়ম সৌদি আরব, সবেদা স্বদেশী, কামরাঙা স্বদেশী, জলপাই স্বদেশী, করমচা মিষ্টি স্বদেশী, মাল্টা ফলের গাছে সমৃদ্ধ তার বাগান।

এছাড়া স্বেদ চন্দন, এলাচ কালো, তেজপাতা জাতীয় মসলা, বকুল, বেলি, শিউলি, রজনীগন্ধা, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, মাধবীলতা, রঙ্গন, গোলাপ, অপরাজিতা ফুলের গাছ এবং মিস্রীদানা, বালিকমূল, শতমূল, কেই, ভিকুমড়া জাতীয় ঔষধি গাছ রয়েছে বাবু’র শখের বাগানে।

সবুজ আহমেদ বাবু বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি পরিবেশ ও বৃক্ষ প্রেমিক। গাছের প্রতি ভালবাসা থেকেই এ বাগানের জন্ম। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ফরমালিনমুক্ত ফল পাওয়ার আশায় এ বাগান করা তার। পরিবারের চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের দেওয়া হয় বাগানের ফল। 

তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ফল গাছ সংগ্রহ করতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

তার বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাগান করেছেন প্রতিবেশী কারিগরি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, আমি বাবুর কাছ থেকে ফুল ও ফলের চারা বিনামূল্যে সংগ্রহ করে বাগান করেছি। সে একজন বৃক্ষপ্রেমী মানুষ।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেলিম রেজা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বসতবাড়ি বা যেকোনো ফাঁকা জায়গায় বাগান করতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে উঠান বৈঠক ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া কেউ বাগান করতে উদ্বুদ্ধ হলে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর