২৯ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:৪১

মানিকগঞ্জের পান চাষিদের ব্যস্ত সময়

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের পান চাষিদের ব্যস্ত সময়

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

মানিকগঞ্জের পান চাষিরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সারা দিন পানবরজ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। একসময় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের সাচিপান দেশের চাহিদা মিটিয়ে পাকিস্তান, লন্ডন ও আরব দেশে রপ্তানি হতো। বিদেশে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পর থেকেই পানচাষিরা খুব ভালো নেই। বর্তমানে শুধু দেশি পান চাষ করে এলাকার শত শত পানচাষি জীবিকা নির্বাহ করছেন। 

সরেজমিন দেখা যায়, পানচাষিরা পরম যত্নে পানবরজের পরিচর্যা করছেন। কেউ সার দিচ্ছেন, কেউ পানের ডগা বেঁধে দিচ্ছেন ও আগাছা পরিষ্কার করছেন। 

হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকার খালেক মেম্বার (৬৭) বলেন, আগে কয়েক বিঘা পানের বরজ করতাম। এবার মাত্র দুই বিঘা জমিতে পানের বরজ করেছি। পান চাষ আমাদের পূর্বপুরুষের কর্ম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভ অনেক বেশি। একবার পানের ডগা রোপণ করলে অনেক বছর বেঁচে থাকে। শুধু যত্ন নিলেই চলে। এলাকাটি নিচু এবং নদীভাঙন কবলিত এলাকা হওয়ায় ঝুঁকিতে থাকি। এবারও বর্ষার পানিতে পানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক নতুন ডগা লাগানো হয়েছে। 

তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে পানবরজ করতে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হলেও বিক্রি হয় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। এ পান সারা বছর বিক্রি হয়। আমরা পাইকারি বিক্রি করি। আকার ভেদে প্রতি বিড়া (৮০টি) পঞ্চাশ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। নদীভাঙনের কারণে পান চাষ কমে গেছে। এরপরেও এ এলাকায় অনেক পরিবার পান চাষ করে ভালো আছেন। 

খিলি পান বিক্রেতা মতি বলেন, প্রতিদিন লোকজন প্রচুর পান খায়। একটি পান পাঁচ টাকা থেকে দশ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভালো এক বিড়া পান ২০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। জেলা কৃষি কৃষি সম্প্রসারণ 

অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ শাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, জেলায় ১১ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলায় এসব পান চাষ হয়ে থাকে। বাজারে ভালো দাম থাকায় পানচাষিরা লাভবান হচ্ছে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর