মানিকগঞ্জে মুলার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষিপণ্যের জন্য মানিকগঞ্জের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। মানিকগঞ্জে শীতকালীন উৎপাদিত সব্জির মধ্যে মুলা অন্যতম। এখানকার মুলা জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। এ এলাকার মুলা দেখতে একবারে সাদা। আগে লাল রঙের মুলাও এ জেলায় আবাদ হতো। সাদা মুলার ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকরা সাদা মুলার আবাদ বেশি করে থাকে। জেলার সিংগাইর, সাটুরিয়া, সদর ও ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর মুলা চাষ হয়ে থাকে।
সদর উপজেলার দোলাপাড়া এলাকার মুলা চাষী মো. সালাম কাজী বলেন, মাত্র বিশ শতাংশ জমিতে মুলা চাষ করেছি। ফলন খুব ভাল হয়েছে। দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে বেপারীরা ১১০ টাকা পাল্লা দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। বাজার এরকম থাকলে লাভ ভালই হবে। তাছাড়া এই জমির মুলা বিক্রি হয়ে গেলেই তামাক ও আখ চাষ করবো। মুলা আমাদের বাড়তি পাওনা।
আরেক মুলা চাষী মো. রাজা মিয়া বলেন, খুব অল্পদিনে মুলা হয় বলে অন্য ফসলের তুলনায় লাভ ভাল। এসময় জমিতে তেমন কোন ফসল থাকে না। কয়েকদিন পর জমিতে নানা রকম ফসল রোপণ করা হবে। মুলা আমাদের বাড়তি আয়। এক বিঘা মুলা আবাদ করতে সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। দিন দিন এলাকায় মুলা আবাদ বাড়ছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় জেলায় প্রতি বছর মুলার আবাদ বাড়ছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে জেলার এবার মুলার ফলন ভাল হয়েছে এবং দামও বেশ ভাল। এই মুলা খুব অল্প সময়ে তোলা যায় বলে কৃষকের লাভ অন্য ফসলের তুলনায় বেশি হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা