১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০২:৪৮

সাকার ফিশ ধ্বংসের নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক

সাকার ফিশ ধ্বংসের নির্দেশনা

সাকার ফিশ। ফাইল ছবি

মাছটির নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। তবে সাকার ফিশ নামে সবাই চেনে। বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। অ্যাকুরিয়ামে চাষযোগ্য বিদেশি প্রজাতির এই ক্ষতিকর মাছটি এখন হর হামেশাই দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদী, হাওর ও জলাশয়ে। এই মাছ জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ায় দেশীয়ভাবে উৎপন্ন অনেক প্রজাতির মাছ পড়েছে ঝুঁকিতে।

সাধারণ চাষের পুকুর ও জলাশয়ে সাকার ফিশের অবৈধ প্রবেশকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে।তাই এ প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে  মাঠ পর্যায়ে একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। নির্দেশনায় সাকার ফিশ যেন কোনোভাবেই উন্মুক্ত ও বদ্ধ জলাশয়ে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। 

নির্দেশনায় বলা  হয়েছে, ‌‘বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও জার্নাল এবং অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে বিভিন্ন দেশে উন্মুক্ত ও চাষকৃত জলাশয়ে এ মাছটির বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশবৃদ্ধি ও প্রজননে ক্ষতি করে। খাদ্য ও বাসস্থানের প্রতিযোগিতা তৈরি হওয়ায় মাছ উৎপাদন ব্যাহত ও চাষে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার পাশাপাশি খাদ্যশৃঙ্খল নষ্ট করে বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করাসহ জলাশয়ের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া দ্রুত বংশবৃদ্ধিতে সক্ষম বলে মাছটি জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়লে জলাশয়ের পাড় ধ্বংস, দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেণু ভক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করাসহ নানাবিধ ক্ষতি করে।’ 

এ প্রজাতির মাছ চাষের ও উন্মুক্ত জলাশয়ে পাওয়া গেলে তা জলাশয়ে ছেড়ে না দিয়ে ধ্বংস করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।  চাষের জলাশয় শুকিয়ে পুরোপুরি পানি সেঁচের মাধ্যমে আহরণ করে মাটিচাপা দেয়া কিংবা সেফ ডিসপোজাল এর মাধ্যমে বিনষ্ট করার কথাও বলা হয়েছে। শোভা বর্ধনকারী মাছ হিসেবে বাজারজাতকরণের জন্য হ্যাচারিতে প্রজনন ও লালন-পালন বন্ধ করার বিষয়ে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীসহ সকলকে উদ্বুদ্ধকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার অনুরোধও জানানো হয়েছে নিদের্শনায়।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর