২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৫৪

ছাদ বাগান এখন গ্রামেও

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

ছাদ বাগান এখন গ্রামেও

শখের বশে কিংবা নিজ পরিবারের বিষমুক্ত পুষ্টির চাহিদা মেটাতে শহরের মানুষের ছাদ বাগানের বিকল্প নেই। আর এ কারণে ছাদে বাগান করে সুফল পাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিরাপদ ফল সবজি প্রাপ্তি সুবিধা নিশ্চিতকরণে অনেকেই ছাদে বাগান তৈরির অনুপ্রেরণা পাচ্ছে। তবে এটি শহরের ছাদে দেখা গেলেও শহরের বাইরেও ছাদ বাগান গড়ার প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে। একটা দৃষ্টিনন্দন ছাদ বাগান দিতে পারে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও পরিবারের চাহিদামতো নিরাপদ ফল-সবজি। আবার অবসর বিনোদনের প্রয়োজনে অনেক বৃক্ষ প্রেমিক ছাদ বাগান সৃষ্টিতে আগ্রহী হয়। তাই সৌখিন বাগানিরা বাড়ির ছাদে গড়ে তুলছেন নানা ধরনের ফল, ফুল ও সবজি বাগান।

এসব ছাদ বাগানে বিভিন্ন জাতের মৌসুমী ফল, ফুল ও সবজি শোভা পাচ্ছে। মানুষ তাদের ভবনের ছাদে স্বল্প পরিসরে ফল ও সবজি উৎপাদন করে প্রতিদিন বিষমুক্ত ফল-সবজি খেতে পারেন। এতে দেশে উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে, তেমনি নিজেদের চাহিদাও মিটবে।  এ অভিপ্রায়ে ছাদে দৃষ্টিনন্দন ৩০ প্রজাতির ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন দিনাজপুর সদর উপজেলার চেরাডাঙ্গি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মোহাইমিনুল ইসলাম মোমিনুল। 

অধ্যক্ষ মো. মোহাইমিনুল ইসলাম মোমিনুল দিনাজপুর সদরের আউলিয়াপুর ইউপির মাসিমপুরে তার দ্বিতল ছাদে গড়ে তুলেছেন এই ছাদ কৃষি বাগান। শখের বসে প্রকৃতিকে ভালোবেসে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন এই ছাদ কৃষি। 

ওই ছাদের টবে শোভা পাচ্ছে, দার্জিলিং, ছাদকি, ছাতকি, ভুটানি, কাশ্মিরী ও নাগপুরি কমলা, বারি-১ জাতের মাল্টা, মিষ্টি জাতীয় মরিচ, সৌদি আরবের ওয়ার্টার মিলন ও রগমেলন, বেদানা, থাই সেভেন পেয়ারা, ডালিম, ড্রাগন, শালগম, কফি, লেবুসহ ৩০ প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে। রয়েছে কিছু ফুলের গাছাও। এরই মধ্যে গাছ বড় হওয়ায় ১৮টি ফলের গাছ বাড়ীর সামনে মাটিতে লাগানো হয়েছে।  

অধ্যক্ষ মো. মোহাইমিনুল ইসলাম মোমিনুল জানান, শহরে বসবাসরত মানুষ তাদের ভবনের ছাদে স্বল্প পরিসরে ফল ও সবজি উৎপাদন করে প্রতিদিন বিষমুক্ত ফল-সবজি খেতে পারেন। নিজেদের চাহিদাও মিটবে পাশাপাশি বিক্রিও কেউ করতে পারবেন। 

তিনি আরও জানান, ছাদের ওপরে সারিবদ্ধভাবে বড় টবে মাটি ভরাট করে একটি করে ফলদ গাছ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শখের বশে নিজের পরিচর্যায় এ ফলদ বাগান গড়ে তুলেছেন। অবসর সময়ে বাগানে সময় কাটান তিনি। প্রথম দিকে মাল্টা, কমলা চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন। বছর শেষে বাগান থেকে মিষ্টি ও সুস্বাদু মাল্টার পেয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তিনি সৌদি আরবের ওয়ার্টার মিলন ও রগমেলন, পেয়ারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ রোপণ করেন। আসলে মনের আগ্রহ থেকেই এই বাগান। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

সর্বশেষ খবর