৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:১২

দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য

আবদুল বারী, নীলফামারী


দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য

সবুজ শ্যামল প্রকৃতির ষড়ঋতুর এই দেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে যেমনি প্রকৃতির রূপ বদলায়, তেমনি বদলায় ফসলের মাঠ। নীলফামারীর মাঠ জুড়ে এখন হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। দুচোখ যেদিকে যায়, সে দিকে শুধু মনজুড়ানো সরিষা ফুলের দৃশ্যের দেখা মেলে। গাঢ় হলুদ বর্ণের সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য গুন গুন করছে। চলছে মধু আহরণের পালা। মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে মাঠে নেমেছে। শীতের শিশির সিক্ত মাঠভরা সরিষা ফুলের গন্ধ বাতাসে ভাসছে। মানুষের মনকে পুলকিত করছে। সরিষার ক্ষেতগুলো দেখে মনে হয় কে যেন হলুদ চাদর বিছিয়ে রেখেছে। এখন শুধু দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য শোভা পাচ্ছে। 

সরিষা প্রধানত আবাদ হয় দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটিতে, বিশেষ করে নদী বিধৌত এলাকায়। কার্তিক-অগ্রাহায়ণ মাসে দু-একটি চাষ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপন করা হয়। সরিষা চাষে সেচ ও সার লাগে কম। সরিষার পাতা একটি উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,নীলফামারী জেলায় এ বছর ৫৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন কৃষকেরা। এর মধ্যে কিছু কিছু জমিতে মধু আহরণের জন্য চাষীরা মধু সংগ্রহের বাক্স বসিয়েছেন। তেল বীজ,মধুর পাশাপাশি কৃষকরা সরিষা থেকে উন্নত গো-খাদ্যও তৈরী করতে পারবে বলে আশাবাদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া ও মধ্যগয়াবাড়ি, দোলাপাড়া এলাকায় বির্স্তীণ মাঠ হলুদে ছেয়ে গেছে। কৃষক রশিদুল ইসলাম বলেন,সরিষা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি ৫ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি।আশা করছি, সরিষা চাষে লাভবান হতে পারব।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,সরিষার বীজ,সার,মধু সংগ্রহ করার বাক্স ইত্যাদি উপকরণ সহায়তা দিয়েছি। সরিষা চাষ করে  খুবই লাভবান হওয়া যায়, সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা, সরিষা শাকসহ সরিষা থেকে ভালোমানের তেল উৎপাদন করা যায়। পাশাপাশি তেল নেয়ার পর অবশিষ্ট অংশ গরুর খৈল হিসেবে খাওয়ানো হয়। এতে প্রচুর পুষ্টি থাকে। কয়েক বছর ফলন ভালো হলে আগামীতে আরও বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। 


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর