৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:০৭

রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানায় প্রধান আকর্ষণ মায়াবী চিত্রা হরিণের দল

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

 রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানায় প্রধান আকর্ষণ মায়াবী চিত্রা হরিণের দল

প্রাকৃতিক অপরূপ নয়নাভিরাম রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানায় মায়াবী চিত্রা হরিণের ঘরে আরও ৭টি নতুন অতিথি এসেছে। শীতের মাঝে রোদের আলোয় নতুন অতিথিদের নিয়ে ছুটোছুটি করে মায়াবী চিত্রা হরিণের দল; যা দর্শনার্থীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়েছে।

দিনাজপুরে মধ্যযুগের বিখ্যাত সামন্ত রাজার অমর কীর্তি রামসাগর এক সৌন্দর্যমণ্ডিত ঐতিহাসিক দীঘি। প্রাকৃতিক অপরূপ নয়নাভিরাম দীঘিটি পর্যটকদের মনকে ছুঁয়ে যায়। এখানে সবার দৃষ্টি কাড়ে রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানার মায়াবী চিত্রা হরিণগুলো। ঐতিহাসিক রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় এখন নতুন অতিথি নিয়ে ৭১টি চিত্রা হরিণ পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণ বাড়িয়েছে। মুক্ত পরিবেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মায়াবী চিত্রা হরিণের পাল। এছাড়াও এখানে রয়েছে অজগর সাপ, বানর, পাখিসহ আরও কিছু বন্য প্রাণী আছে। মিনি চিড়িয়াখানার এসব প্রাণী দেখভাল করেন বনবিভাগের বাবুল। 

চিড়িয়াখানার মায়াবী চিত্রা হরিণের সংসারে চলতি শীত মওসুমে এসেছে ৭টি নতুন অতিথি। আরও কিছু মা হরিণ গর্ভধারণ করেছে, যারা ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রসব করবে বলে জানান দিনাজপুর বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা ও রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক মো. সাদেকুর রহমান সাদেক। 

চিত্রা হরিণগুলোর খাদ্যের জন্য সঠিক সময়ে খাদ্য বাজেট আসে না। খাবারের সংকট স্থানীয়ভাবে সমাধান করা হয়। পরে বাজেট এলে তা সমন্বয় করা হয়। চিত্রা হরিণগুলোকে ছোলা, নেপিয়ার ঘাস, গমের ভূসি, ভূট্টা ভাঙ্গা, চক্কর, লতাপাতা ইত্যাদি খাবার দেয়া হয়।

বনবিভাগের কয়েকজন জানায়, চিত্রা হরিণের প্রিয় খাবার শাপলা পাতা। বরাদ্দ কম এলেও রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করতে পারলে হরিণের খাদ্য চাহিদা কিছুটা মেটানো সম্ভব হবে। 

 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

সর্বশেষ খবর