৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৮:৪১

নতুন প্রজন্মের কাছে মহিষ যেন বিরল প্রাণী

মো. আবদুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও

নতুন প্রজন্মের কাছে মহিষ যেন বিরল প্রাণী

ফাইল ছবি

সময়ের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রায় বিলুপ্তির পথে মহিষ। একসময় মহিষ গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি বাড়িতেই লালন-পালন করা হতো। আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা হারিয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মহিষ যেন বিরল প্রজাতির প্রাণী। বাস করে গভীর জঙ্গলে। সাধারণত বর্তমানে মহিষকে এশিয়ার প্রাণী বলা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদের সময় যে মহিষগুলো চোখে পড়ে সেগুলোর বেশিরভাগই ভারত থেকে আমদানি করা।

মহিষ কালো, ধুসর অথবা বাদামী রঙের হয়ে থাকে। মহিষ কৃষি কাজে ও কাছাকাছি দূরত্বে পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। অধিক ননী-সমৃদ্ধ দুধ আর  মোটা আঁশযুক্ত মাংসের উৎস হিসেবে জুড়ি নেই প্রাণীটির। জমির উর্বরতা শক্তি বাড়াতে মহিষের হাড় ও গোবরের ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মানুষের ব্যবহার্য শৌখিন সামগ্রী তৈরির জন্য মহিষের শিং, হাড় ও চামড়ার ব্যবহার হয়ে থাকে। মহিষ গড়ে ১৫ বছর বাঁচে। পুরো জীবণচক্রে মাদি মহিষ প্রায় ১৬-১৭টি বাচ্চা দেয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মুনসুর আলী বলেন, কত বছর ধরে মহিষ চোখে পড়ে না তা মনে আসছে না। ছোট বেলায় আমাদের বাড়িতে মহিষ পালন করা হতো। মহিষ ছিল কৃষকের চাষাবাদ ও পণ্য পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মহিষ এখন বিলুপ্তির পথে। অনেক কিশোর/কিশোরীর কাছে মহিষ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা কেউ কখনো মহিষকে স্বচক্ষে  দেখেননি বলে জানান। কলেজ শিক্ষার্থী নুসরাত তামান্না বলেন, ‘আমি বইয়ে পড়েছি ও ছবি দেখেছি মহিষের। কোনোদিন  স্বচক্ষে  দেখা হয়ে উঠেনি। আমার ধারণা এটি জঙ্গলে বসবাস করে এমন একটি প্রাণী। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগের মতো আর মহিষ পালন করা হয় না। মহিষের খামারও সেভাবে চোখে পড়ে না। তবে জেলার কয়েকটি জায়গায় দু’একটি করে মহিষ পালন হয়। সময়ের বিবর্তনে এই গবাদি প্রাণীটি হারিয়ে যাচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর