১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:০৭

কুমিল্লায় জলাবদ্ধতা সহনশীল সরিষার চাষ বাড়ছে

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় জলাবদ্ধতা সহনশীল সরিষার চাষ বাড়ছে

বুড়িচং উপজেলার এতবারপুর। এই এলাকার গোমতী নদীর বিস্তীর্ণ চর। চরের মাঠজুড়ে দেখা যায় সরিষা ফসল। পরিপক্ক হয়ে উঠা সরিষার ঘ্রাণ নাকে এসে লাগে। প্রতিকূল পরিবেশে ভালো ফসল পেয়ে খুশি কৃষকরা। এই এলাকাসহ কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় জলাবদ্ধতা সহনশীল বিনা সরিষা-৪ এর চাষ বাড়ছে। 

এলাকার কৃষক মো. শাহজাহান বলেন, যখন সরিষা বপন করা হয় তখন ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আঘাত হানে। ডিসেম্বর মাসের প্রথমে সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মাঠে প্রচলিত স্থানীয় ও অন্যান্য সরিষা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু ভারী বৃষ্টিজনিত সাময়িক জলাবদ্ধতা সহনশীল বিনা সরিষা-৪। এটি প্রতিকূলতা কাটিয়ে ভালো ফলন দেয়।

বিনা কুমিল্লার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন বলেন, এ জাতটি পাতা ও ফলের ঝলসানো রোগ প্রতিরোধী। এই সরিষার ফলন ভালো ও তেলের পরিমাণও বেশি। 

বিনা কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, সরিষার অপার সম্ভাবনাময় কুমিল্লা জেলা। অতিরিক্ত আদ্রতায় চাষবিহীন জমিতে লাগানো যায়। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪ শতাংশ, জীবনকাল ৮২-৮৫ দিন। গড় ফলন প্রতি একরে ২০ মণ। 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, দেশে দুই ফসলি জমির আমন ও বোরোর মাঝের সময়ে প্রায় ২২ লাখ হেক্টর জমি পতিত থাকে। আমন আর বোরোর মাঝে যদি আমরা এই পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে পারি তাহলে বছরে তেলের উৎপাদন আট থেকে ১০ লাখ টন বাড়বে। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর