৭ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৪৩

খানসামার আলু যাচ্ছে বিদেশে, আশার আলো কৃষকের মাঝে

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

খানসামার আলু যাচ্ছে বিদেশে, আশার আলো কৃষকের মাঝে

খানসামার আলু যাচ্ছে বিদেশে।

আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে চিন্তিত ছিলেন  দিনাজপুরের খানসামার কৃষকরা। তবে এখন বাজারে দাম ভাল এবং বিদেশে যাচ্ছে এই আলু। চাষিরা বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এবং ৩ হাজার ৪৪৮ মেট্রিকটন আলু বিদেশে রফতানি হওয়ায় খুশি কৃষকরা।

খানসামা উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের কৃষক আ. আলীম, আইনুল হক, একরামুল হক ও আতিকুর রহমান টুকু রফতানিকারকদের মাধ্যমে বিদেশে আলু রফতানি করছেন। তারা বলেন, জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১২-১৪ টাকা দরে বিক্রি করেন চাষিরা, যা গত বছর এর অর্ধেক ছিল।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ৬৬ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৪৪৮ মেট্রিক টন আলু বিদেশে রফতানি হচ্ছে। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে সাগিতা, গ্রানুলা, ডায়মন্ড, কুমরিকা, সার্পোমিরা ও সেভেন জাতের আলু রফতানির কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।

অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, খানসামা থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে আলু রফতানিতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। এছাড়াও স্থানীয় বাজারেও দাম বেশ ভালো। জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন কৃষক। যা কিছুদিন আগেও ৭ থেকে ৮ টাকা ছিল। এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি।

খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, রফতানিযোগ্য আলুর চাষ দিন দিন বাড়ছে। আগামী বছর এর পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এখন থেকে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে রফতানিযোগ্য আলু চাষ করতে হবে। এজন্য কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় রফতানিযোগ্য জাতের আলুর চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আ. আলীম, আইনুল হক, একরামুল হক, আতিকুর রহমান টুকু রফতানিকারকদের মাধ্যমে বিদেশে আলু রফতানি করছেন। এবার খানসামার ৩ হাজার ৪৪৮ মেট্রিকটন আলু বিদেশে রফতানি হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর