শিরোনাম
১৪ এপ্রিল, ২০২২ ১২:১০
নীলফামারীর ডোমার

উৎপাদন বেশি হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন মরিচ চাষিরা

নীলফামারী প্রতিনিধি

উৎপাদন বেশি হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন মরিচ চাষিরা

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় মরিচ তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মরিচ চাষিরা। উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবার লাভবান হচ্ছে মরিচ চাষিরা। গত কয়েক বছরের তুলনায় মরিচ চাষ কম হলেও এবারে ফলন ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে মরিচের দাম পেয়ে খুশি তারা।

উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, এবারে ৭ বিঘা (২ একর ৩৩ শতাংশ) জমিতে জিরা মরিচ চাষ করেছি। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ মরিচ বিক্রি করছি ২ হাজার হতে আড়াই হাজার টাকায়। গত বছর এই সময়ে প্রতি মণ মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৪০০ হতে ৬০০ টাকায়। এবারে ২ হাজার ৫০০ হতে ২ হাজার ৬০০ টাকায় মরিচ বিক্রি করেছি।

বামুনীয়া ইউনিয়নের আব্দুস সালাম জানান, মরিচ চাষে প্রতি বিঘায় (৩৩ শতক) জমিতে উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ১৮ হতে ২০ হাজার টাকা। তবে মরিচ তোলা বাবদ প্রতি মণ ২০০ হতে ২৫০ টাকা ও পরিবহন খরচ বাবদ  প্রতি মণে ৫০টাকা । তবে বর্তমান বাজার দরে উৎপাদন খরচসহ অধিক লাভবান হওয়া যাবে।

বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক অনীল চন্দ্র রায় বলেন, বাংলা সনের বৈশাখ ও জৈাষ্ঠ এই দুই মাস পর অধিক বৃষ্টি ও মরিচ গাছের বয়স হওয়ায় মরে যায়। শেষ সময়ে ফলন কমে যায়।

মরিচ চাষী  দুলাল চন্দ্র রায় জানান, প্রতি বছরের চেয়ে এবছরের মরিচের দাম ভালো থাকার ফলে আগামী বছরে এই উপজেলায় মরিচ চাষ বাড়বে বলে মনে করেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান বলেন, এবারে সাড়ে ৭০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় কৃষকরা মরিচের ভালো দাম পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ মরিচ ক্ষেতের রোগবালাই সম্পর্কে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে। সঠিকভাবে চাষাবাদের জন্য উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। দাম ভালো থাকায় অন্যান্য ফসলের সাথে সাথে মরিচ চাষেও কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
                                                     

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর