শিরোনাম
১৫ এপ্রিল, ২০২২ ২০:২৪

দুধ গ্রামে ২০ দিনে ৬০ গরুর মৃত্যু, ঘরে ঘরে আতঙ্ক

শেরপুর প্রতিনিধি

দুধ গ্রামে ২০ দিনে ৬০ গরুর মৃত্যু, ঘরে ঘরে আতঙ্ক

শেরপুর সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের তিলকান্দি, ভাটিয়াপাড়া, পাকুড়িয়া, পূর্বপাড়া ও খামারপাড়া গ্রামগুলো জেলায় 'দুধ গ্রাম' নামে পরিচিত। এসব গ্রামের শত শত বাড়িতে উন্নত প্রজাতির বিশাল গাভী ও ষাড় রয়েছে। এখানের প্রতিটি বাড়িই ছোটবড় একেকটা খামার, প্রতিদিন কয়েকশ মন দুধ বাজারজাত হয় এখান থেকে। মাংসও আসে প্রচুর।

এসব গ্রামের মানুষের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন প্রাকৃতিক উপায়ে গরু পালন। মাস খানেক আগে অজ্ঞাত রোগে ২/৩টি গরু মারা যায়। কিন্ত গত ২০ দিনে  মারা গেছে অন্তত ৬০টি গরু। অল্প সময়ে এতো গরুর মৃত্যুতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে খোঁজ রাখে না জেলার পশু সম্পদ বিভাগ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করেছে। 

জানা গেছে, চারদিন আগে ঈফতারের আগে ও পরে পনের মিনিটের ব্যবধানে পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের দুইটি গরু মারা গেছে ভাটিয়াপাড়ার কৃষক আজিজের। আজিজ বলেন, মারা যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগেও গুরু দুটি সুস্থ ছিল ও খাবার খেয়েছে। কোন কিছু বোঝার আগেই সব শেষ। গত বুধবার তিলকান্দির মোহাম্মদ আলীর বড় একটি গরু মারা গেছে। কদিনের মধ্যে মারা গেছে হামিদুল, জহুরল,  রাজ্জাক, সফিকুলসহ অনেকের গরু। এলাকাবাসীর দাবি অন্তত ৫০ জন কৃষকের ৬০টি গরু ২০ দিনের মধ্যে মারা গেছে।

মৃত গরুর বাজার মূল্য কমপক্ষে দুই কোটি টাকা। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে গরুগুলো মারা যাওয়ার আগে একটু শ্বাসকষ্ট হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই গরুগুলো মারা যায়। ডাক্তার পর্যন্ত ডাকার সময় পাওয়া যায় না। আরও কিছু গরু হঠাৎ খাওয়া বন্ধ করে দেয়, থুম ধরে থাকে। তারপর কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যায়। কেন এমন হচ্ছে কৃষকরা কিছুই জানে না। কোনো খোঁজ খরব নেয় না জেলার প্রাণী সম্পদ বিভাগ। তবে ডাক্তারকে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা ভিজিট দিয়ে ডাকলে সাড়া দেন। 

শুক্রবার বিষয়টি জেনেছেন স্বীকার করে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাড়িবাড়ি গিয়ে সব গরুর খবর নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা গেছে গরুগুলো নিউমোনিয়া ও খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার ফল না আসা পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। আগামী রবিবার ১৭ এপ্রিল জেলা উপজেলার সকল কর্মকর্তা নিয়ে গরু চাষীদের সাথে কথা হবে। যা যা করা দরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ। দায়িত্বে কারও অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর