গত তিনদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বেড়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হাওরের অনেক জমির ধান তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে তিতাস পাড়ের আকাশি হাওরও তলিয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছে স্থানীয় কৃষকরা। এর মধ্যে গত সপ্তাহে শিলা বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় অনেক ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা গোয়ালনগর, ভলাকুট, বুড়িশ্বর, নাসিরনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার হাওরের ধানী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও হরিপুর, কুন্ডা, গোর্কণ ও পূর্বভাগ ইউনিয়নের তিতাস নদীর তীরবর্তী আকাশী হাওরের অনেক জমির ধানও তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বাড়লে আরও ক্ষতির আশংকা করছে স্থানীয়রা।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রমতে, এখন পর্যন্ত ৭০ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে স্থানীয় কৃষকদের হিসেবে ক্ষতির পরিমান আরও অনেক বেশী হবে। দ্রুত পানি না নামলে আরও বেশী ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। আবার পানি বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কোন কোন জায়গায় কৃষকরা হাটু পানি ও কোমর পানিতে নেমে আধাপাকা ধান কেটে ফেলছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক বলেন, নাসিরনগর উপজেলায় আবাদকৃত মোট ১৭ হাজার ৩১২ হেক্টরের মধ্যে ধান কাটা হয়েছে ২ হাজার ৬‘শ হেক্টর। এখনো জমির ধান কাটা অনেক বাকি রয়েছে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে হাওরের সব ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে পানি বাড়ার বিষয়ে পূর্বভাস থাকায় অন্তত ৮০ ভাগ ধান পাকলেই কৃষকদের ধান কাটতে বলা হয়। এ ঘোষণা অনুযায়ী যারা ধান কেটেছে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। তবে সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী নাসিরনগরে ৭০ হেক্টরের মত ধানি জমি তলিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে নাসিরনগরে তিনশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্তসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল