১০ মে, ২০২২ ২২:০০

লাল আশ্রয়ণে সবুজ উৎসব

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

লাল আশ্রয়ণে সবুজ উৎসব

পরিবারের পুরুষদের অধিকাংশের পেশা দিনমজুর ও রিকশা-ভ্যান চালক। অর্থনৈতিক টানাটানি লেগেই আছে। পরিবার দেখভালের পর অবসর সময় কাটে মহিলাদের। তারা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ছোট আঙিনা ও চালায় সবজি চাষ শুরু করেন। পরিবারের সবজির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। আগের থেকে একটু ভালোভাবে চলতে পারছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে। গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাস করছেন অর্ধ শতাধিক পরিবার। তাদের অধিকাংশ সবজি চাষে জড়িত।

আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, দুইটি ঘরের ফাঁকে, মাচায়, আঙিনায় সবুজ সবজির সমারোহ। নারীরা কেউ ব্যস্ত সবজির জমির আগাছা পরিষ্কারে। কেউ পানি দিচ্ছেন। নেটের মাচায় ঝুলছে বর্ণিল চিচিঙ্গা। মাচায় লাউয়ের বাড়ন্ত রূপ। রয়েছে বরবটি। আঙিনায় বেগুন, পুঁই শাক, ঢেঁড়শ। লাল টিনের ঘরের পাশে সবুজ সবজির মাচা নান্দনিকভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে। যেন লাল সবুজের উৎসব। আশ্রয়ণের সাথে গ্রামের বাসিন্দারাও এখানে সবজি কিনতে আসছেন। সবজি বিক্রি করে নগদ টাকা পেয়ে খুশি নারীরা।

গৃহিনী জান্নাত আক্তার, শারমিন বেগম ও জেসমিন আক্তার বলেন, আমাদের হাতে অনেক অবসর সময় ছিলো। স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাহেদ আলমের পরামর্শে এখানে সবজি চাষ করি। প্রশিক্ষণ নিয়ে বুঝলাম কম জমিতেও ভালো ফলন সম্ভব। আমরা খাওয়ার পাশাপাশি সবজি বিক্রি করছি। এতে পরিবারের আর্থিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারছি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাহেদ আলম বলেন, আমাদের উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিনা আক্তার একটি সভায় বলেন আশ্রয়ণে কিছু করা যায় কিনা। এসে দেখলাম জায়গা কম। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায়ের দিক নির্দেশনায় আমরা প্রথমে পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর দুইটি প্রদর্শনী চারজনকে ভাগ করে দেই। তাদের সাফল্য দেখে আরো ১৫/১৬ জন সবজি চাষ করছে। এতে তারা স্বচ্ছল হচ্ছে।    

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, আমরা এখানে পতিত জমি কাজে লাগিয়েছি। আমাদের টিমের পরামর্শ মেনে কাজ করায় এখানের গৃহিনীরা সফল হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে সেই মোতাবেক আমরা কাজ করছি।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর