৮ জুলাই, ২০২২ ১৩:৩৩

শহরের মাঝে গাছে গাছে বক আর পানকৌড়ির নিরাপদ আবাস!

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

শহরের মাঝে গাছে গাছে বক আর পানকৌড়ির নিরাপদ আবাস!

দিনাজপুর শহরের মাঝে বড় বড় গাছগুলোতে পানকৌড়ি আর বক পাখিদের নিরাপদ আস্তানা। বর্ষার এই সময়েও নিরিবিলিতে বসবাস পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত। উঁচু গাছের দিকে তাকালে দেখা যাবে শত শত পানকৌড়ি আর বকের নিরাপদ আবাসস্থল। 

সরেজমিনে দেখা যায়, দিনাজপুর শহরের পাহাড়পুরের ইকবাল হাই স্কুলের মেহগনিসহ বিভিন্ন গাছের ডালে বাসা বেঁধেছে শত শত সাদা বক ও কালো পানকৌড়ি। স্কুল বন্ধ থাকায় তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে গাছগুলো। বৈশাখে এসেছে এসব পাখি। প্রজনন শেষে বাচ্চাগুলো বড় হওয়ার পর ভাদ্র মাসেই চলে যায় তারা।

সবার অগোচরে দিনাজপুর শহরের ইকবাল হাই স্কুলের বাউন্ডারীর মাঝে উচু গাছগুলোতে নিরাপদ প্রজনন এলাকা হিসেবে বেছে নিয়েছে এসব সাদা বক-পানকৌড়িরা। দেখা যায়, পাখী কোনটি উড়ছে, কোনটি ডাকছে। সকালে আর বিকালে পাখিদের আনাগোনায় মন জুড়িয়ে যাবে সবার। পরিবেশ বান্ধব বিকেল বেলায় পাখিদের কলকাকলীতে প্রকৃতি রুপ ফুটিয়ে তোলে। সকাল হলেই মা পাখিরা খাবারের সন্ধানে উড়ে যায় আবার সন্ধ্যা নামার সাথে ফিরে আসে নীড়ে। সন্ধ্যার দিকে গাছগুলোর দিকে তাকালে মনে হয় শাখা-প্রশাখা জুড়ে সাদা-কালো ফুল। তবে বোঝা যায় ওরা নড়ে-চড়ে, ওড়ে, ডাকে। ফুল নয়, সাদা-কালো বক আর পানকৌড়ি। পাখির ওড়াউড়ি, মা পাখির বাচ্চাকে খাওয়ানো আর বাবা পাখির সারাদিন পাহারা দেওয়ার দৃশ্য প্রতিদিন সকলকে মুগ্ধ করে। 

মোসাদ্দেক হোসেন, রাকিবসহ অনেকে বলেন, এরা বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আসতে শুরু করে এবং ৫ মাস অবস্থান করে প্রজনন শেষে চলে যায়। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পুনর্ভবা, আত্রাই, গাবুরা নদীসহ খাল-বিল আর ফসলের মাঠ থেকে নানা জাতের মাছ, পোকামাকড় ও শামুক-ঝিনুক খেয়ে জীবন বাঁচে পাখিগুলোর। কেউ তাদের বিরক্ত করে না। তাই এখানে নিরাপদ আশ্রয়ে বাসা বেধে ডিম দেয় এবং তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায় তারা। মা পাখিরা খাবার সংগ্রহ করে এনে মুখে তুলে দেয় বাচ্চা পাখির। সন্ধ্যায় মা পাখিরা যখন ঘরে ফেরে তখন শত শত পাখির ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পাখির কলকাকলি উপভোগ করতে হলে আসতে হবে ভোর ৬টার আগে বা সন্ধ্যা ৬টার পরে। সকাল আর সন্ধ্যায় পাখির কলকাকলি অন্যরকম এক আবহ তৈরি করে।
স্থানীয়রা বললেন, গাছে গাছে বক ও পানকৌড়ি বাসা বেঁধেছে। পাখিগুলোকে যেন কেউ মারতে বা বিরক্ত করতে না পারে সেজন্য সবাই সচেতন থাকি।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর