২২ আগস্ট, ২০২২ ১৬:১১

শখের বাগানে লাখ টাকার সবুজ মাল্টা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

শখের বাগানে লাখ টাকার সবুজ মাল্টা

পূর্ণমতি। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার একটি গ্রাম। করোনার কারণে দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হয়। সবাই যখন আতঙ্কগ্রস্ত। তখন এক বিঘা জমিতে মাল্টা বাগান করার সিদ্ধান্ত নেন পূর্ণমতি গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মো. আশিকুর রাহমান দিপু। কিন্তু তার কোনো প্রশিক্ষণ নেই। জানা নেই কোথায় চারা পাওয়া যাবে। সেই বাগানে এখন ফল এসেছে। সবুজ মিষ্টি মাল্টা ক্রেতার মন জয় করছে। উদ্যোক্তার আশা এই বাগান থেকে তিনি লাখ টাকার বেশি ফল বিক্রি করতে পারবেন। 

মো. আশিকুর রাহমান দিপু বলেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস। এক কাজে উপজেলা পরিষদে যাই। উপজেলা কৃষি অফিস খোলা পেয়ে প্রবেশ করি। কর্মকর্তাদের জানাই মাল্টা বাগান করার কথা। তাদের পরামর্শ ও উৎসাহ পাই। চারার ব্যবস্থা হয় সরকারিভাবে। শাসনগাছা হর্টিকালচার সেন্টার থেকে বছরব্যাপি ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেয়া হয় বারি মাল্টা-১ এর চারা। সাথে সারসহ নানা উপকরণ। ২৩ এপ্রিল চারদিকে থমথমে পরিস্থিতি। তখন বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিষেধ। ওইদিন বাগানে চারা রোপণ করি। বাগান তৈরি, চারা জোগাড়, রোপণ, সার ব্যবস্থাপনা, প্রথম বছর সাথী ফসল চাষ সম্পর্কে পরামর্শ পেয়েছি অতিরিক্ত কৃষি অফিসার বানিন রায়ের কাছ থেকে। উপসহকারী কৃষি অফিসারও নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। 

সোমবার বাগানটি ঘুরে দেখা যায়, মাল্টা বাগানের বয়স এখন ২ বছর ৪ মাস। ৬৫টি গাছে মাল্টা ধরেছে। গাছ গুলোতে মাল্টার পরিমাণ আনুমানিক ১০ থেকে ২০ কেজি করে। 
কোনটাতে আবার ৫ কেজি। গড়ে ১৫ কেজি হিসাবে প্রায় ১ টন মাল্টা পাওয়া যাবে। আয় হতে পারে আনুমানিক ১ লাখ টাকা। বাগান থেকে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে মাল্টা বিক্রি করছেন দিপু। স্থানীয়রা সতেজ তাজা মাল্টা কিনতে পেরে খুশি। নগদ টাকা পেয়ে খুশি তিনি। 

বুড়িচং উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার বানিন রায় জানান, বুড়িচং উপজেলার উঁচু জমি গুলোতে ফল বাগান করার প্রবণতা কম ছিল। এখন প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা কুল, মাল্টা, ড্রাগন, পেঁপে ও কলা চাষে সফলতা পেয়েছেন। পাশে কুমিল্লা শহর। এখানে ভালো বাজার থাকায় এ এলাকায় সকল ফল চাষ লাভজনক। উপজেলা কৃষি অফিস বা উপসহকারী কৃষি অফিসারদের পরামর্শ নিয়ে বাগান করলে সফলতা আসবে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর