৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:০১

সবুজ শ্যামলে ঘেরা আদর্শ মানিক নার্সারি

নীলফামারী প্রতিনিধি

সবুজ শ্যামলে ঘেরা আদর্শ মানিক নার্সারি

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সবুজ শ্যামলে ঘেরা আদর্শ মানিক নার্সারিতে শোভা পাচ্ছে নানা রকমের ফুল-ফল ও ঔষধিসহ সৌন্দর্যবর্ধক বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা। এখানে ফলের মধ্যে রয়েছে সূর্যডিম, আমসহ ৪২ প্রজাতির দেশি ও বিদেশী আমের চারা। 

জাম, বারোমাসি কাঁঠাল, কামরাঙ্গা, বেল, জামরুল, আপেল, চায়না কমলা, স্ট্রবেরি, কাঁঠালী লিচু, হলুদ ড্রাগন, হলুদ মাল্টা, মিষ্টি তেতুল, হাইব্রিড আঙুর ও ভিয়েতনাম নারিকেল ইত্যাদি। ফুলের মধ্যে রয়েছে গোলাপ, গাঁদা, গাজর, রায়বেলী, জিনিয়া, কচমচ, দোপাটি, সূর্যমুখী। আর ঔষধি গাছের মধ্যে রয়েছে তুরাগ চান্ডাল, পাথর কুচি, নিম, অর্জুন, শতমূলসহ বিভিন্ন মশলাজাতীয় গাছের চারা। 

নীলফামারী শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পূর্বে কচুকাটা বাজার হাইস্কুল মাঠ সংলগ্নে সবুজের সমারোহে ঘেরা এই নার্সারিটি অবস্থিত। ১৯৯২ সালে ১০ শতক জমি বর্গা নিয়ে ছোট্ট পরিসরে শুরু করা হয় নার্সারিটি। বর্তমানে প্রায় ১৫ একর জমিতে গড়ে উঠেছে বড় আকারের এই নার্সারিটি। গাছের চারার গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশের প্রায় সকল জেলা থেকেই  মানুষজন তার নার্সারিতে আসছেন চারা সংগ্রহ করতে।

তবে সরকারিভাবে সহায়তা আশা করছেন আদর্শ মানিক নার্সারির মালিক আব্দুল মতিন। এ নার্সারিতে দেশি বিদেশি প্রায় ৪ লাখ মাতৃ ও কলম চারা প্রস্তুত রয়েছে। এখান থেকে প্রতি মৌসুমে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার চারা বিক্রি করে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকার মুনাফা হয়।

আদর্শ মানিক নার্সারির মালিক আব্দুল মতিন বলেন, আমরা মানুষকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করি। মূলত গাছের প্রতি প্রেম ভালোবাসা থেকেই নার্সারি শুরু করেছিলেন আমার বাবা। বতর্মানে আমরা তিন ভাই ছাড়াও নার্সারিতে ২০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করি। নার্সারিটিকে দেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। সঠিক মানের নিশ্চিয়তা ও ভালো গুণগত জাতের চারা সরবরাহ করায় দিন দিন খুচরা এবং পাইকারি  ক্রেতাদের চাহিদা বেড়েই চলেছে।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা. হোমায়রা মন্ডল বলেন, আমরা নার্সারি স্থাপনকারী কৃষকদের নিয়মিত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। স্থানীয় কৃষকেরা যাতে ভালো চারা পেতে পারে সেই জন্য নার্সারির মালিকদের সাথে কৃষকদের যোগাযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও নতুন উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ  দিচ্ছি।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর