৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৪:৫২

মাছ চাষে স্বাবলম্বী যুবকরা, এক গ্রামে শতাধিক খামার

এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি:

মাছ চাষে স্বাবলম্বী যুবকরা, এক গ্রামে শতাধিক খামার

মাছ চাষ করে ঝালকাঠির নেহালপুর গ্রামে বেকার যুবকরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। এক গ্রামেই মাছের ঘের রয়েছে শতাধিক। ঝালকাঠি জেলার মাছের চাহিদা অনেকটাই পুরোন হয় নেহালপুরের মাছ দিয়ে। মৎস্য বিভাগ বলছে মৎস্য চাষে নেহালপুর একটি আদার্শ গ্রাম। এই গ্রামের মাছ চাষিদের সাথে তাদের রয়েছে নিবির সংযোগ।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় ঝালকাঠি- খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে নেহালপুর গ্রাম। ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের এই ছোট গ্রামটি এখন মাছ চাষের জন্য আলোচিত। সবুজ গাছের ছায়ায় ঘেরা গ্রামটির সড়কের দুপাশে দেখা যাবে একের পর এক মাছের ঘের। গ্রামটিতে মৎস্য ঘেরের সংখ্যা হবে শতাধিক।

স্থানীয়রা জানান, অল্প পুজি ও কম সময়েই মৎস্য চাষ লাভজনক হওয়ায় এই গ্রামে মৎস চাষে এনে দিয়েছে সফলতা। একজনের সফলতা দেখে আরেকজন মৎস্য খামার করছে। এভাবেই গ্রামটিতে মৎস্য ঘেরের সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে গেছে। গ্রামের অনেক বেকার যুবক বিদেশে না গিয়ে গ্রামে মৎস্য ঘের করে স্বাবলম্বীও হয়েছে। ঝালকাঠি শহরের মাছের চাহিদার বড় একটি অংশ জোগান দেয় নেহালপুরের মৎস্য খামারগুলো।

এ গ্রামের মৎস্য চাষি মো. জামাল জানান, ঘেরে তারা কার্প জাতীয় মাছ রুই কাতলাসহ পাঙ্গাস এবং দেশিয় প্রজাতির শিং, কই, পাবদা ও মাগুর মাছের চাষ করে থাকেন। জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, নেহালপুর গ্রামের শতাধিক মৎস্য খামারে বছরে তিনশো পঞ্চাশ (৩৫০) থেকে চারশো (৪০০) টন মাছ উৎপাদন হয়। যার আনুমানিক বিক্রয় মূল আট কোটি থেকে দশ কোটি টাকা। তবে বর্তমানে মাছের খাবারের দাম বেশি হওয়ায় মৎস্য চাষিদের উৎপাদন খরচটা বেশি পড়ছে। তাই তারা এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ জানান, মৎস্য চাষে নেহালপুর গ্রামে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এই গ্রামে মৎস্য চাষে যাতে আরো প্রসারিত হয় এবং পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও যেন মৎস্য চাষ প্রসারিত হয়, সে ব্যাপারে মৎস্য বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর