৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:০৫

সবুজে ভরে উঠেছে দিনাজপুরের ফসলের মাঠ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

সবুজে ভরে উঠেছে দিনাজপুরের ফসলের মাঠ

দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকরা সময়মতো বৃষ্টির অভাবে দেরিতে আমন রোপণ করলেও এখন ‌‘ধানের জেলা’ হিসেবে খ্যাত দিনাজপুরের ফসলের মাঠ সবুজে ভরে উঠেছে। ফসলের মাঠের কোথাও ফাঁকা নেই, যতদূর দৃষ্টি পড়ে সবুজ আর সবুজ, নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা, যেন সবুজের গাঢ় রঙ্গে একাকার হয়ে পড়েছে। নতুন সাজে সেজেছে বাংলার প্রকৃতি।

ফসলের মাঠে দেখা যাচ্ছে কোন কৃষক সার না হয় কীটনাশক ছিটাচ্ছে। ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। তবে এরই মধ্যে কোনো কোনো স্থানে দেখা দিয়েছে মাজড়া পোকা। পোকা দমনে কীটনাশক ব্যবহার করছেন বলে জানালেন কয়েকজন কৃষক।

এবার আমন চারা রোপণের শুরুতে তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খরার কবলে পড়ে ফসলের মাঠ। তবে এখন বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা আমনের চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দিনাজপুর সদরের চুনিয়াপাড়া এলাকার কৃষক আব্বাস উদ্দিন জানায়, আমন ধানে শীষ আসার আগেই দেখা দিয়েছে পোকা। তাই কীটনাশক দিতে হচ্ছে।

চিরিরবন্দরের নশরতপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানায়, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় প্রথমদিকেই শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছি। এতে রোপণে খরচ বেড়েছে। আবার সারের দাম বেড়েছে। ডিজেলের দাম বেড়েছে। চিন্তা হচ্ছে ধানের খরচ উঠাতে পারবো কিনা।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর দিনাজপুর জেলায় ২ লাখ ৬০ হাজার জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, চাষ বেশি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল, হাইব্রিড ও সুগন্ধি জাতের ধান। দেরিতে শুরু করলেও ফলনে তেমন সমস্যা হবে না বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান। এই ধান আগামী কার্তিক মাসের দিকে কাটাই মাড়াই শুরু হবে বলে কৃষি বিভাগ জানায়।

রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক জানায়, অনান্য জাতের ধানের ন্যায় সুগন্ধি জাতের ধান একই সমান ফলন হলেও, বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় তারা কাঠারি জাতের ধান বেশি চাষ করে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার না হলে, আবারো হেমন্তে নতুন ধানে ভরে উঠবে কৃষকের গোলা- এই প্রত্যাশা আমন চাষিদের।


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর