২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৪:০২

মধু সংগ্রহের দৃশ্য যেন এখন শুধুই স্মৃতি

আবদুল বারী, নীলফামারী

মধু সংগ্রহের দৃশ্য যেন এখন শুধুই স্মৃতি

বড় বড় গাছ কেটে ফেলা, বন-জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে মৌমাছির সেই অবাধ বিচরণ এবং মধু সংগ্রহকারীদের মধু সংগ্রহের দৃশ্য তেমন একটা চোখে পড়ে না।

নীলফামারীর গ্রামীণ মেঠো পথে একসময়ে হাঁটলে রাস্তার ধারে গাছের উঁচু ডালে, ঘরের দেয়ালে হরহামেশাই চোখে পড়তো মৌমাছির বাসস্থান মৌচাক। মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে ভোঁ ভোঁ শব্দ করে আনাগোনা করতো। তবে বর্তমানে শোনা যায় না মৌমাছির সেই ভোঁ ভোঁ শব্দও।

সামাজিক প্রাণি মৌমাছিরা মৌচাকে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। মৌমাছিরা বিভিন্ন ফুল ফল থেকে রস সংগ্রহ করে মৌচাকে জমা করে। আর সেই তরল রস মৌচাকে জমাট বেঁধে তৈরি হয় মধু।

ডোমার বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাবেদুল ইসলাম সানবীম বলেন, একটা সময় অনেকেই মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে চালিয়ে ছিলেন জীবনজীবিকা। তবে আগের মতো মৌচাক না থাকায়, সেই পেশা ত্যাগ করে জীবিকার তাগিদে অনেকে বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা। মধু সংগ্রহের সেসব দৃশ্য যেন এখন শুধুই স্মৃতি। আধুনিক যুগে যে হারে মানুষ গাছপালা, বন জঙ্গল কেটে ধ্বংস করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে প্রকৃতিকে করেছে কোণঠাসা। সেসব কারণে প্রাকৃতিকভাবে এসে চাক তৈরি করা মৌমাছির জীবন রক্ষা করাই যেন সংকটাপন্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছি ও মৌচাক।

ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়ন হংসরাজ গ্রামের গলিরাম চন্দ্র রায় বলেন, আমার নিজ বাড়ির আমগাছ থেকে চাকের মধু পেড়ে খেয়ে ছিলাম ৫০ বছর পূর্বে। সেই মধুর স্বাদ মুখে এখনও লেগে আছে। তবে বর্তমানে সেই মধু আর পাওয়া যায় না।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মৌমাছি কৃষকের চাষাবাদে পরম উপকারী বন্ধু। নানা মৌসুমে রবিশস্য ও ফুল, ফলজ চাষে পরাগায়ন ঘটাতে মৌমাছি ব্যাপক ভূমিকা রাখে। সরিষা চাষাবাদের মাধ্যমে যেন মধু চাষ করতে পারে সে বিষয়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
                                             

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর