১৬ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৫৭

খাঁচায় বন্দি থেকে ‘পাখির মুক্ত বিচরণ’ নিশ্চিতের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

খাঁচায় বন্দি থেকে ‘পাখির মুক্ত বিচরণ’ নিশ্চিতের দাবি

প্রখর রোদে প্রায় ১ ঘণ্টা খাঁচার মধ্যে অবস্থান করে ‘পাখির মুক্ত বিচরণ’ নিশ্চিত করার দাবিতে বরিশালে ব্যতিক্রমী প্রচারাভিযান চালিয়েছেন একজন পরিবেশ কর্মী। 

সাইফুল্লাহ নবীন (৪৮) নামে এক লেখক ও অংকন শিল্পি রবিবার সকাল পৌনে ১১টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত রোদের মধ্যে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে খাঁচায় বন্দি থাকেন তিনি। এ সময় কৌতূহলী মানুষজন তাকে ঘিরে রাখে। 

করোনাকালে সচেতনতামূলক নানা ব্যতিক্রমী প্রচারিভাযান চালিয়ে পরিচিতি পাওয়া জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চর হোগলা গ্রামের মৃত ফজলে করিমের ছেলে সাইফুল্লাহ নবীন কাঠের তৈরি অস্থায়ী একটি খাঁচা নিয়ে সদর রোডে হাজির হন। সকাল পৌনে ১১টার দিকে খাঁচার মধ্যে প্রবেশ করেন তিনি। খাঁচায় প্ল্যাকার্ডে ‘পাখি বাঁচান, তাকে মুক্ত আকাশে উড়তে দিন’ স্লোগান লেখা ছিল। 

এ সময় নবীন গণমাধ্যমকে বলেন, খাঁচায় থাকতে তার কষ্ট হচ্ছে। পাখিরও অনুরূপ কষ্ট হয়। মানুষের যেমন মুক্ত থাকতে ইচ্ছে করে, পাখিরও তেমন মুক্ত আকাশে উড়ার স্বাধীনতা রয়েছে। পাখিরা মুক্ত আকাশে উড়বে-এটা পরিবেশের জন্য ভালো। পরিবেশ বাঁচলে দেশ বাঁচবে। পাখির অবাধ বিচরণের জন্য পরিবেশ বিভাগ এবং প্রাণি সংরক্ষণ বিভাগের প্রচারণা চালানো উচিত। যাতে পাখিকে কেউ খাঁচায় আটকে পালন করতে না পারে। ঢাকার কাঁটাবনে পাখি বেচাকেনা বন্ধ করে দেয়ার দাবিও জানান তিনি। 

‘পাখির মুক্ত বিচরণ’ দাবিতে নবীনের প্রচারিভযানে সমর্থন দিয়েছেন উৎসুক পথচারীরাও। 

আনিছুর রহমান জাহিদ নামে একজন পথচারী বলেন, নবীনের এই দাবি সমর্থনযোগ্য। পাখিতে খাঁচায় আটকে পালন করা উচিত নয়। খাঁচার মধ্যে অনেক সময় পাখি খাবারের অভাবে মারা যায়। পাখিকে মুক্তভাবে বাঁচতে দেয়া উচিত। 

লোকমান হোসেন নামে আরেক পথচারী বলেন, প্রত্যেক পাখির স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার আছে। পাখি শিকার করা উচিত নয়। শীত মৌসুমে আগত অতিথি পাখির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর