১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৪৩

ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বীজতলা, দিশেহারা কৃষক

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বীজতলা, দিশেহারা কৃষক

ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বীজতলা

গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। গেল কয়েকদিনের শৈত্য প্রবাহের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে লাগানো বোরো ধানের বীজতলা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বোরো আবাদ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

রবিবার শহরতলীর আদমপুর এলাকায় গিয়ে কথা হয় স্থানীয় কৃষক আলেপ বেপারী, আলাউদ্দিন শেখ ও মন্টু সরকারের সাথে। তারা জানান, এ বছর তারা কয়েক বিঘা জমিতে বোরো ধানের বীজতলা করেছিলেন। গত কয়েকদিনের অব্যাহত শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলাগুলো একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে ধানের চারাগুলো হলুদ হয়ে নষ্ট হচ্ছে।

অম্বিকাপুর ইউনিয়নের কৃষক সুলাইমান জানান, এ বছর বোরো ধানের বীজতলা করে তিনি লোকসানের মধ্যে পড়েছেন। কুমার নদীর তীরে বোরো ধানের বীজতলা করেছিলেন তিনি। ঘন কুয়াশার কারণে তার বীজতলা একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। প্রথমদিকে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরও কোনো কাজ হয়নি। ফরিদপুর জেলায় এ বছর বোরো মৌসুমের জন্য এক হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে লক্ষ্যমাত্র অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এ বছর বোরো আবাদে বেশ প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একাধিক কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার কারণে এবছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে, বীজতলা নষ্ট ও শ্রমিক সংকট এবং বীজ, সার ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বোরো আবাদের উৎপাদন খরচও বেশি হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জিয়াউল হক জানান, ঘন কুয়াশা থেকে ধানের বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের কারিগরি পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই
  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর