ফুল এক অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক। যেমন সুন্দর, তেমন আকর্ষনীয়। তাই ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। উৎসব কিংবা দিবস, ফুল দিয়ে সূচনা হয় সবকিছু। দাম যেমনই হোক, ফুলের চাহিদা সবখানে। তাই কৃষি বিভাগের উদ্যোগে রাঙামাটিতে এই প্রথমবার বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হয়েছে। পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পেয়েছেন চাষী ও কৃষিবিভাগ। রাঙামাটির গণ্ডি পেরিয়ে এ ফুল বাজারজাত হচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। কৃষি বিভাগ বলছেন, অন্যান্য ফসলের পাশপাশি ফুল চাষেও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন পাহাড়ের কৃষকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়নের মধ্যমপাড়ার নিজ জমিতে ফুলবাগান করেন মঙ্গলমনি চাকমা। রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় প্রথম চাষেই ফলন পেয়েছেন বাম্পার। মৌসুমী ফুল গাদা, গোলাপ, রজণীগন্ধা চন্দ্রমল্লিকা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, ডালিয়াসহ তার বাগানে রয়েছে নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফুল। কম খরচে বেশি লাভের আশায় এ ফুল বাগান করে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছেন তিনি।
রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়নের মধ্যমপাড়ার ফুল চাষি মঙ্গলমনি চাকমা বলেন, ফুল চাষ করে ভুল করেনি তিনি। কম খরচ, বেশি লাভ। আর চাহিদাও অনেক। প্রথম পরীক্ষামূলক চাষে ফুল হয়েছে ব্যাপক। এরই মধ্যে ৫০ হাজার টাকার অধিক বিক্রি করেছে ফুল। তাই মৌসুমে ফুল চাষ সীমাবদ্ধ না রেখে ১২ মাসেই ফুল চাষ করার পরিকল্প রয়েছে তার।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, মঙ্গলমনি চাকমার জমিতে পরীক্ষামূলক ফুল চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষিবিভাগ। রাঙামাটির মতো অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এ ফুল চাষ বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হলে ব্যাপক লাভবান হবে কৃষকরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল