২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৫১

বৃষ্টির দেখা নেই পঞ্চগড়ে

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

বৃষ্টির দেখা নেই পঞ্চগড়ে

গত ৪ মাস ধরে বৃষ্টি নেই পঞ্চগড়ে। বৃষ্টিপাতের অভাবে কৃষি শিল্পে ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষক। তারা বলছেন শুধুমাত্র সেচ দিয়েই চাষাবাদ করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বৃষ্টির অভাবে চাষাবাদে নানা ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ফসলের খেতে পোকা মাকড়ের আক্রমণ বেশি হচ্ছে। ফলন কমে যাচ্ছে। ২০২২ সালের এসময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছিলো। বর্তমানে গম, ভূট্টা, বোরো, মরিচ, বাদাম, পেয়াজ, টমেটো সহ নানা রকম শাকসবজি আবাদ করছে কৃষক। 

জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা বাদাম, আটোয়ারী উপজেলা ভূট্টা ও মরিচ, সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় ব্যপক টমেটো ও  গম চাষাবাদ হচ্ছে।  অন্যদিকে প্রায় সব উপজেলাতেই চা বাগান, আম, লিচু, কাঠাল, লটকন, জলপাই, ড্রাগনসহ নানা রকম ফলের বাগান রয়েছে। এসব বাগানে মুকুল এসেছে কম। বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে ফলন কমের আশংকা করছেন বাগানীরা। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে ২০২২ সালে ১৩ অক্টোবর সর্বশেষ বৃষ্টি হয়েছিলো এই জেলায়। সেদিন ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হযেছিলো। ওই বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে ৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিলো। সারা ফেব্রুয়ারি মাসে বেশ কয়েকবার বৃষ্টিপাত হয়েছিলো । ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও এবছর এই মাসে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান,  জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। মৌসুমী বায়ু নিস্ক্রিয় হয়ে আছে। তাই বৃষ্টি হচ্ছে না। বৃষ্টির সম্ভাবনাও আপাতত দেখা যাচ্ছে না। 

তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার কৃষক জবেদ আলী জানান, বৃষ্টির খুব দরকার। বৃষ্টির অভাবে গমের ফলন কম। পোকা মাকড়ের আক্রমণ বেশি। বৃষ্টি একটু হলেও ভালো হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। সব ফসলেই সেচ দিয়ে পানি দিতে হচ্ছে। ফলে ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। 

বোদা উপজেলার হাবসিপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেন জানান, দুই একর জমিতে আমের বাগান আছে। বৃষ্টির অভাবে মুকুল কম। কিছু গাছে মুকুল ধরলেও ফলন কেমন হবে বলা যাচ্ছে না। পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.রিয়াজ উদ্দীন জানান, একটু হলেও বৃষ্টির প্রয়োজন। কৃষি কাজে প্রকৃতিক বৃষ্টির প্রভাব অনেক। কিন্তু এবার এই জেলায় বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কৃষি কাজে ক্ষতির আশংকা আছে। 

এদিকে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত নেই বলে মানুষের শরীরগত ক্ষতি হচ্ছে। নানা রকমের অসুখবিসুখ দেখা দিচ্ছে। রাস্তাঘাটে ধুলো বালির সংক্রমনে হাঁচি, কাশি, সর্দি ও জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটছে। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর