৫ মার্চ, ২০২৩ ১৪:২৯

দিনাজপুরের বাজারে আগাম তরমুজ, দাম চড়া

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বাজারে আগাম তরমুজ, দাম চড়া

দিনাজপুরের বাজারে আগাম তরমুজ

গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার বাজারে আগাম উঠছে। ফলের দোকানগুলোতে তরমুজ প্রচুর পরিমাণে দেখা গেলেও চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। দাম চড়া থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এই ফল। এদিকে আবহাওয়া রাতে ঠাণ্ডা ও দিনে গরম হওয়ায় তরমুজ কম বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

দিনাজপুর শহর, বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও হাকিমপুরসহ বিভিন্ন উপজেলা শহরের বাজারে কিংবা সড়কের পাশে মৌসুমী ফল তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফলের দোকানগুলোতে আপেল, কমলা, পেয়ারা, বরইসহ বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি তরমুজও বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

ফল ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাজারে পতেঙ্গা, কুয়াকাটা, বরিশাল, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলা লিংক জাতের এই তরমুজ কিনে আনছেন তারা। মোকামে তরমুজের আমদানি থাকলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

তরমুজ বিক্রেতা মাহবুব আলম বলেন, প্রতিবছর এই মৌসুমী ফলের ব্যবসা করি। এ অঞ্চলে তরমুজের আবাদ তেমন হয় না। কয়েকটি এলাকাতে আবাদ হলেও এই সময়ে বাজারে আসে না। বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করি। এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদা আছে। দুইদিন ধরে বিক্রি করছি। তবে এবার রমজান মাসে বেচাকেনা জমে উঠবে।

তিনি আরও জানান, বড় আকারের তরমুজ প্রতিকেজি ৬০ টাকা এবং ছোট আকারের তরমুজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পিস প্রতি খরচ বাদ দিয়ে ১৫-২০ টাকা করে লাভ থাকছে।

রিকশাচালক শফিক বলেন, চোখের সামনে নতুন ফল দেখে ছেলেমেয়েদের জন্য কিনতে ইচ্ছা হলেও দাম বেশি, তাই কিনতে পারছি না। ক’দিন গেলে যখন দাম কমবে, তখন কিনবো। একটি তরমুজ কিনতে আড়াইশো থেকে তিনশ টাকা লাগবে। সারাদিনে আয় যা হয়, তা দিয়ে চাল-ডাল কিনবো, নাকি তরমুজ কিনে খাবো।

বিরামপুর ঢাকামোড়ে ফলের দোকানে দেখা গেছে, প্রতিকেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এসব তরমুজ বগুড়া থেকে ৪২-৪৫ টাকা কেজি কেনা হয়েছে।

ফল বিক্রেতা আরমান হোসেন বলেন, এখানে আমরা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এই এলাকায় এসময় তরমুজ মেলে না। কাঁচা ফল লোকশানের ভয়ে অল্প লাভে ক্রেতাদের কাছে তরমুজ বিক্রি করে দিচ্ছি।

তরমুজ ক্রেতা মাহবুবুর রহমান বলেন, এই এলাকার তরমুজ বাজারে আসতে অনেক দেরি। এই সময়ে তরমুজ পেয়ে ভালোই লাগলো। তবে দাম একটু বেশি। খেয়ে দেখলাম অনেক সুস্বাদু।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর