৫ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৪২

কারেন্ট জালে অবাধে পাখি শিকার বালিয়াকান্দিতে

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী:

কারেন্ট জালে অবাধে পাখি শিকার বালিয়াকান্দিতে

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বিভিন্ন স্থানে অবাধে চলছে পাখি শিকার। কর্তৃপক্ষের নজরদারি অভাবে এসব পাখি শিকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। পাখি শিকার বন্ধে বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় কোনোভাবেই থামছে না পাখি শিকার।

স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায, বালিয়াকান্দিতে অনেক প্রকার পাখি এখন আর দেখা যায় না। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ও গ্রামের পুকুরে কারেন্ট জাল পেতে পাখি শিকার করে কয়েকটি চক্র।

আজ রবিবার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একটি পুকুরে কারেন্ট জাল পেতে পাখি শিকার করছেন স্থানীয়রা। জালে মাছরাঙ্গা, বাদুর, সাদা বকসহ ১৯টি পাখি আটকে রয়েছে। এর পাশের আরেকটি পুকুরের কারেন্ট জালে ৪টি মাছরাঙ্গা আটকে থাকতে দেখা গেছে। পাখিগুলো জালে আটকা পড়ে মারা গিয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, হারুন নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী পুকুরে জাল পেতে পাখি শিকার করছেন। শিকারীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাকে কিছু বলা যায় না। উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বরুগ্রাম বিলে রয়েছে পাখি মারার বিশাল আকৃতির ফাঁদ। 

পাখি শিকারী হারুন দাবি করেন, আমার পুকুরের মাছ খেয়ে ফেলে পাখিরা। যে কারণে কারেন্ট জাল পেতে রাখা হয়েছে। আমি এই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন জানি না। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক যুবক বলেন, পাখি শিকার বন্ধে বনবিভাগের কোনো অভিযান হয় না। স্থানীয় প্রশাসন সেভাবে কাজ করে না। যে কারণে প্রভাবশালীরা পাখি শিকার করে মানুষের খাবার হিসেবে ব্যবহার করে। 

বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সোহেল মিয়া বলেন, পাখি শিকার বন্ধে সচেতন হতে হবে। পাখির যে একটি পরিবার আছে সেটা অনুধাবন করতে হবে। সেই সাথে পাখি শিকারের সাথে জড়িতদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। 

বালিয়াকান্দি উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিবুল হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পাখি শিকার আইনগত ভাবে অপরাধ। এই অপরাধে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের নির্দেশে জামালপুরে অভিযান পরিচালনা করে এক ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। বালিয়াকান্দিতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর