১ মে, ২০২৩ ১৩:২৯

পান চাষে সফল জহিরুল ইসলাম

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

পান চাষে সফল জহিরুল ইসলাম

মো. জহিরুল ইসলাম

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পান চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মো. জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। তিনি নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত সরব আলীর ছেলে।

অন্যের দোকানে কাজ করে অভাব-অনটনে সংসার চলতো তার। এক বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করে রাজশাহী থেকে মিষ্টি জাতের প্রায় ৫ হাজার পানের চারা এনে পরিত্যক্ত বাড়ির পতিত জমিতে রোপণ করেন। পান চাষ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি ও তার পরিবার। এখন শখের বসে গড়ে তোলা পানের বরজের পরিচর্যা করে দিন কেটে যায় তার। বরজের পান বিক্রি করেই স্ত্রী-দুই সন্তান নিয়ে চলছে জহিরুলের সংসার।

জহিরুল ইসলাম জানান, নাগরপুর উপজেলায় তিনিই প্রথম পান চাষ শুরু করেন। রাজশাহী থেকে পানের ডগা এনে প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়ির পতিত জমিতে রোপণ করেন। চারদিকে বেড়া ও ছাউনি দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। কোনো রকম সমস্যা দেখা দিলে রাজশাহী থেকে অভিজ্ঞ দুই-একজন পান চাষি এনে পরামর্শ নেন। ৯ মাস পর থেকে পান তোলা শুরু করেন তিনি।

স্থানীয় বাজার ছাড়াও রাজশাহীতে পান বিক্রি করতে নিয়ে জান জহিরুল। তবে পান চাষের জন্য জমি উপযোগী কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল তার। সেই সংশয় কাটিয়ে এখন সফলতার মুখ দেখছেন। কয়েক মাসেই পুরো খরচের টাকা উঠে আসে তার। এখন সে একজন সফল পান চাষি।

জহিরুল আরও বলেন, তার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। যদি উপজেলা প্রশাসন কিংবা কৃষি অফিস থেকে একটু সহযোগিতা পান, তাহলে আরও বড় পরিসরে পান চাষ করতে পারবেন।

ভাতশালা গ্রামের সোলাইমান মাস্টার ও প্রতিবেশী মো. মহসিন বলেন, আমাদের এলাকায় পান চাষ হবে, এটা আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি। জহিরুলের সফলতা দেখে আমরা এলাকাবাসী খুবই খুশি।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, নাগরপুর উপজেলায় পান চাষে জহিরুল ইসলাম একজন সফল উদ্যোক্তা। পান যেহেতু অর্থকরী ফসল। তাই কৃষি অফিস থেকে জহিরুল ইসলামসহ যারা পান চাষে এগিয়ে আসবে, তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর