১৮ মে, ২০২৩ ১৮:৪৭

দিনাজপুরে ‘করলা’ চাষির মুখে হাসি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে ‘করলা’ চাষির মুখে হাসি

দিনাজপুরে ‘করলা’ চাষির মুখে হাসি

এবার রোগবালাই কম হওয়ায় বাম্পার ফলনের পাশাপাশি মহারাজ প্লাস জাতের করলা চাষে লাভের মুখ দেখেছেন দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকেরা। 

বীরগঞ্জের সাতোর ইউপির প্রাণনগর গ্রামের সবজি চাষি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে ৪০শতক জমিতে মহারাজ প্লাস জাতের করলার চাষ করি। করলা চাষে মোট খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত ৭৫ হাজার টাকার করলা বিক্রয় করেছি। এখনো একমাস পর্যন্ত করলার ফলন পাওয়া যাবে, আশা করছি। ৪০শতক জমিতে ধান চাষ করে যে পরিমাণ লাভ হয় করলা চাষে তার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ লাভ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

একই কথা জানিয়ে আহম্মদ জুয়েল বলেন, ‘এবার কৃষক সবজি চাষে মোটামুটি লাভের মুখ দেখছে। সরকার যদি সবজি বাজার সঠিকভাবে মনিটরিং করে তাহলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আশা করছি কৃষকদের উৎপাদিত মালামাল সরাসরি ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ সবধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।’

বীরগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম জানান, নিরাপদ সবজি উৎপাদনে বীরগঞ্জের কৃষক এবং কৃষি বিভাগ শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিয়েছে। সবজি চাষে কীটনাশক প্রয়োগের পরিবর্তে সেক্স ফেরোমেন ব্যবহার এবং রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈবসার ব্যবহারের ফলে উৎপাদিত সবজি অনেকটাই নিরাপদ। তাই এ এলাকার উৎপাদিত সবজি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক চাহিদা আছে।

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ৩২হাজার ৮৯৬ হেক্টর। খরিপ-১ মৌসুমে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে করলা চাষ হয়েছে ১৮ হেক্টর জমিতে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর