১২ জুন, ২০২৩ ১৬:৫৩

আষাঢ় এলেও নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে পানির দেখা নেই

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

আষাঢ় এলেও নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে পানির দেখা নেই

জ্যৈষ্ঠের দিন শেষ হয়ে আষাঢ় চলে আসলেও এবার পানির দেখা নেই। প্রতি বছর বৈশাখে হাওরাঞ্চল ভরে গেলেও এবার যেনো মাছের মাঠে খাঁ খাঁ অরণ্য। ফলে হাওরাঞ্চল জুরেই মাছের সঙ্কটের আশংকা করছেন জেলেসহ মৎস্য ব্যবসায় জড়িতরা। 

যে কারণে কর্মহীন মৎস্য অবতরণের শ্রমিকরাও। গত বছর নেত্রকোনা জেলায় দুই হাজারের অধিক টাকার মৎস্য ব্যবসা হলেও শুধু মাত্র হাওরেই ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার মাছ আহরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। 

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিবছর হাওরের একমাত্র বোরো ফসল তুলতে তুলতে পানি চলে আসে। অনেক সময় ধান ডুবে যায়। তখন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠে মাছে। কিন্তু এবছর ধান তুলতে পারলেও মাছের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এ বছর জৈষ্ঠ শেষ হয়ে গেলেও পানির দেখা নেই। আষাঢ় মাসের দৃশ্য হয়তো আরও পরে দেখা যাবে। ফলে হাওরের বৈচিত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। 

মোহনগঞ্জ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, পুরো মে মাস ব্যস্ত থাকে অবতরণ কেন্দ্র। কিন্তু এবছর একবারে বন্ধ। কিছু কিছু জেলে মাছ নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিক্রি করছে। এখানকার মাছের সাথে দেশের বিভিন্ন জেলাও জড়িত। হাজারো শ্রমিক রয়েছে মাছ ব্যবসায় অতোপ্রতোভাবে। 

এদিকে এবার এখনো হাওরে পানি না আসার বিষয়ে কিছুটা শঙ্কার কথা শিকার করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান কবীর বলেন, তাদের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে মাছের প্রজনন ভালো হবে। এছাড়াও এবারের পানি না আসা এবং বৃষ্টি না হওয়াকে তিনি ক্লাইমেট চেইঞ্জের প্রভাব উল্লেখ করে বলেন, হাওরে দিন দিন পলি জমে ভরাট হয়ে পড়ছে। হাওরের কিছু অংশতে সারাবছর যাতে পানি থাকে সেই ব্যবস্থা করার প্রতি তিনি অনুরোধ রাখেন।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

সর্বশেষ খবর