১৪ জুন, ২০২৩ ২৩:১৪

বরগুনায় ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনায় ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ

বরগুনায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ। গবাদিপশুর শরীর, মুখমণ্ডল থেকে পা পর্যন্ত গোটা গোটা হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ১০৪-১০৬ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠছে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগের ব্যাপারে খামারি বা গৃহস্থরা ধারণা করতে না পারায় নিরাময়ের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

ঈদুল আজহার আগে ছোঁয়াচে এই ভাইরাস রোগ ছড়িয়ে পড়ায় গৃহস্থ ও খামারিদের চোখেমুখে কষ্ট আর দুশ্চিন্তার ছাপ। বরগুনার একাধিক গৃহস্থ বাড়ি আর খামার ঘুরে দেখা গেছে এমন কোনও বাড়ি বা খামার নেই যে লাম্পি স্কিন রোগাক্রান্ত গবাদিপশু নেই। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বাছুর। বরগুনা সদর ইউনিয়নের কলাতলা গ্রামের রফিক মোল্লা বলেন, তার একটি বাছুর ৭-৮ দিন ধরে আক্রান্ত। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে ভ্যাক্সিন সহ ঔষধ দিয়েছে কোন অগ্রগতি নেই।

বরগুনা জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগের প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়নি। আমরা গোটা পস্কের ভ্যাক্সিন দিয়ে যাবার পাশাপাশি খামারি আর গৃহস্থদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে জেলায় প্রাণি আক্রান্ত এবং মারা যাবার সঠিক সংখ্যা নিরুপনেও কাজ চলছে। প্রতিটি খামার এবং বাড়িতে রাত-দিন যাচ্ছে ভ্যাটানিক্যাল সার্জনসহ কর্মীরা।
 
তালতলী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাদেকুর রহমান বলেন, আক্রান্তের সাথে সাথে যদি আমাদের কাছে নিয়ে আসা হয় তাহলে প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হবার সম্ভবনা থাকে। অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার ৪-৫ দিন পর গবাদি পশুকে নিয়ে আসা হচ্ছে। 

এদিকে, খামারি এবং কয়েকজন গৃহস্থ অভিযোগ করেছেন, বেতাগী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বিষয়টি নিয়ে উদাসীন ভাব দেখাচ্ছেন। অনেকের সাথে উগ্র আচরণও করছেন। এমনকি সাংবাদিকরা লাম্পিং স্কিন বিষয় তথ্য জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বা তথ্য দিতে বাধ্য নন বলে মন্তব্য করেন।

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর