২২ জুন, ২০২৩ ১৮:৪৩
সেমিনারে বক্তারা

টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য স্মার্ট কৃষির বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য স্মার্ট কৃষির বিকল্প নেই

সেমিনারে বক্তারা

ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর করতে হবে। কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ড্রোন, রোবট, প্রভৃতি উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, উৎপাদন পরবর্তী অপচয় রোধ, শ্রমিক সংকট মোকাবিলা, সার, বালাইনাশকের পরিমিত ব্যবহার, সেচ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও স্মার্ট কৃষির বিকল্প নেই।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট কৃষির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। কৃষি তথ্য সার্ভিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক অপরিহার্য কারণে উপস্থিত থাকতে না পারায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘ক্রেডিট কার্ড ছাড়া ইউরোপে কিছুই কেনা যায় না। শুধু ওয়ালমার্ট এ ডলার দিয়ে কিছু কেনাকাটা করতে পেরেছি। কানাডা আমাদের চেয়ে অনেক বড়। দেশে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী যারা আছেন তারা আদর্শ সম্প্রসারণ কর্মী। আমরা দুই কোটি মানুষকে স্মার্ট কার্ড দিবো। স্মার্ট ফার্মিংয়ের জন্য বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে চুক্তি করছি।’ 

কৃষিপণ্য রপ্তানি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘সারা বিশ্বে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য আধুনিক ল্যাব, প্যাকিং হাউজসহ যত রকমের অবকাঠামো প্রয়োজন, আগামী ২ বছরের মধ্যে তা তৈরি হয়ে যাবে। এক দেশ থেকে আরেক দেশে রফতানি করার যে ন্যূনতম সক্ষমতা সেটা আমাদের এখনো গড়ে উঠে নাই। আমাদের উৎপাদন ভালো এটা সবাই বলে। কিন্তু রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের দৈন্যতাও রয়েছে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি, আগামী দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য দেশে পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা আমরা গড়ে তুলতে পারবো। তরুণরা কৃষিতে আসছে এটা ভালো লক্ষণ। কৃষির প্রতি সবার দরদ আছে এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় সুযোগ।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক সুরজিত সাহা রায়। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আহসান উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘দেশে কৃষিপণ্যের বিপণন ব্যবস্থায় স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই জরুরি। ব্লক চেইন ও বিভিন্ন রকমের অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে। তাহলে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমে যাবে এবং কৃষকেরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যা মূল্যা পাবেন।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

সর্বশেষ খবর