৫ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:২৫

টানা বৃষ্টিতে তরমুজ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টিতে তরমুজ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি

টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে তরমুজ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই তরমুজের ফলন আসা শুরু করতো। কিন্তু পানি জমে থাকায় গাছগুলো মারা যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার গোরখানা, ছদুরখীল ও যোগ্যাছোলা এলাকার ১০ জন চাষি চলতি মৌসুমে মালচিং পদ্ধতিতে এক একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। প্রতিটি ক্ষেতে তরমুজের ফলন আসতে শুরু করেছে। তবে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের আছাদতলী এলাকার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. দিদারুল আলমের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, নিজ উদ্যোগে ২০ শতাংশ জমিতে আগাম মুলা, ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ ও ৪০ শতাংশ জমিতে কাঁকরোলের চাষ করেন।

জমিগুলো নিচু হওয়ায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে এসব জমির ফসল। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক। একই গোরখানার এলাকার খোরশেদ আলম ও শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজন তরমুজ ও মৌসুমি সবজি চাষিও ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

কৃষক দিদারুল আলম বলেন, মুলা ও তরমুজ ক্ষেতের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুদিনের মধ্যেই তরমুজের ফলন আসা শুরু করতো। পানি জমে থাকায় গাছগুলো মারা যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি।

এদিকে, খাগড়াছড়ির পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রূপনগর এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ২০টি পরিবার পানিতে আটকে আছে। গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রূপনগর, গাউছিয়া নগর, আনন্দনগর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বহু পরিবার জলাবদ্ধতায় ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কেউ ড্রেনেজ ব্যবস্থা কিংবা পানি সরানোর ব্যবস্থা না করায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী জানান, মথুরা বিকাশ ত্রিপুরার বাড়ির সামনের অর্ধনির্মিত ড্রেনটি সংস্কার ও নির্মিত না হওয়ায় আশপাশের পরিবারগুলো পানিতে আটকা পড়ে আছে।

এ ব্যাপারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটন তালুকদার জানান, আমি এসে দেখে যাব।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

 

সর্বশেষ খবর