১৫ আগস্ট, ২০২৩ ১০:৩৩
দেবিদ্বারে পতিত ২৩৭ হেক্টর জমি হাসছে আউশে

১১০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

১১০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা

কুমিল্লার দেবিদ্বারে অনাবৃষ্টি আর তাপদাহ সত্ত্বেও ২৩৭ হেক্টর জমি নতুন করে আউশ আবাদের আওতায় এসেছে। এতে আনুমানিক ১১০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান এই জমি গুলো থেকে উৎপাদিত হবে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌসুমি পতিত জমিতে আউশ আবাদ বৃদ্ধির এই কার্যক্রম হাতে নেয়। উপজেলায় মোট আউশ আবাদ হয়েছে ১১হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে। খালি জমিতে এখন ফসলের হাসি দেখে খুশি এলাকার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র জানায়, আউশ আবাদ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের বল্লভপুর ব্লকের মধুমুড়া ও উজানিকান্দি গ্রামে। গত মার্চের মাঝামাঝি ঐ গ্রাম গুলোতে কাজ শুরু করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। শুরুতে গ্রাম দুটিতে পৃথক উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করা হয়। সভা গুলোতে অধিক ফলনশীল নতুন জাত ও আউশ আবাদের অর্থনৈতিক লাভের বিষয়ে কৃষকদের জানানো হয়। বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে বিনামূল্যে বীজ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। এতে বল্লভপুর ব্লকে আউশ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৭০ হেক্টর। একই মডেলে সাফল্য এসেছে সুলতানপুর ৩০ হেক্টর, ভানী ও বড়কামতা ২৫ হেক্টর, সুবিল ও ধামতি ইউনিয়নে ২০ হেক্টর করে। 

উজানিকান্দি গ্রামের কৃষক আবদুল মতিন,কামাল হোসেন ও তালেব মিয়া বলেন, আউশ মৌসুমে আমাদের জমি গুলো খালি পড়ে থাকতো। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে ধান লাগিয়েছি। ধানের অবস্থা ভালো। আশা করি ভালো ফলন পাবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, দেশের খাদ্যের বাড়তি জোগান দিতে মৌসুমি পতিত জমি সমূহ আবাদের আওতায় আনয়নের কার্যক্রমটি হাতে নেয়া হয়। আউশ আবাদে খরচ অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় অনেক কম হয়। বর্তমান জাত সমূহের ফলনও অনেক বেড়েছে। এতে আউশ চাষ লাভজনক- এই বিষয়টি আমরা কৃষকদের বুঝাতে চেষ্টা করেছি। উপসহকারি কৃষি অফিসারবৃন্দ প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যেও মাঠ পর্যায়ে পরিশ্রম করেছেন। অনেক জমি সেচ পাম্প চালু করে লাগাতে হয়েছে। আনুমানিক ১১০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান এই জমি গুলো থেকে উৎপাদিত হবে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

এদিকে সোমবার বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার প্রধান ড. মো. রফিকুল ইসলাম ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রশিদ মধুমুড়া গ্রামের আউশ আবাদকৃত নতুন মাঠ সমূহ ঘুরে দেখেন। প্রতিষ্ঠানটি দেবিদ্বার উপজেলার কৃষকদের জন্য ১৩০০ কেজি ব্রি ধান৯৮ জাতের বীজ সরবরাহ করে। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর