১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৯:০৭

দিনে ঘুমায় রাতে উড়ে বেড়ায়

নজরুল মৃধা, রংপুর

দিনে ঘুমায় রাতে উড়ে বেড়ায়

ফাইল ছবি

যে পাখি দিনে আরামে ঘুমায় রাতে উড়ে বেড়ায় সেই পাখির নাম হচ্ছে নিশিবক। সারা দিন ঘুমিয়ে সন্ধ্যা নামলেই বের হয় নিশাচরের মতো। সারারাত ঘুরে দিবানিদ্রায় যায়। 

সন্ধ্যার পর পানির ধারে বা পানির উপরের কোনো ডালপালায় ধ্যানমগ্ন হয়ে সুযোগ বুঝে মাছ ধরে খায়। এছাড়া ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী, সাপ, ছোট সরীসৃপ, ছোট পাখি আর জলজ পোকা খেয়ে জীবন ধারণ করে। 

দেশি প্রজাতির পাখি হলেও নিশিবক এখন আবাসন সংকটে পড়ে নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। গত ১ সেপ্টেম্বর রংপুর থেকে নিশি বকের ছবি তুলেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাধারণ বকদের মধ্যে আছে কানা বা কানিবক, গো-বক, ছোট সাদাবক, মাঝারি সাদাবক, বড় সাদাবক, বেগুনি বক, বৃহৎ বা মহাকায় বক, নিশিবক, বাঘাবক রয়েছে। নিশিবক ছাড়া অন্য সব বকই দিবাচর। 

বর্তমানে নিশি বকের আবাসন সংকট দেখা দেওয়ায় এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। নিশিবকের মাথা ও পিঠ কালো, সারা দেহ ধূসর। কালো  পালককে দূর থেকে নীলচে বলে মনে হয়। দেহের নিচের দিক ধূসরের আভাসহ সাদা রং রয়েছে। চোখ খুব বড় ও লালচে। পা কমলা-হলুদ। কপাল সাদা যা চোখের উপরে সাদা ভ্রুর সঙ্গে এসে মিশেছে। ঠোঁট হলদে আভাযুক্ত কালো বা পুরো কালো। প্রজননের সময় মাথার ওপর থেকে খুব লম্বা দুটি বা তিনটি সূচালো পালক বের হয় এবং পা হয় লালচে। 

মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এদের প্রজনন সময়। আকারে  মোটামুটি বড়। উচ্চতা ৫৮-৬৬ সেন্টিমিটার ও ওজন ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজির কিছুটা ওপরে। ডানা ১১৫ থেকে ১১৮ সেন্টিমিটার।  স্ত্রী ও পুরুষ দেখতে এক রকম হলেও পুরুষরা আকারে কিছুটা বড়। পুকুর, দিঘি, ছোট নদী, খাল, বিল, হ্রদ, জলাভূমি, বিশেষত ধানখেত নিশি বকের প্রধান বিচরণস্থল। এরা দলবদ্ধভাবে বাস করতে পছন্দ করে। জনবসতির আশপাশ এলাকায় এই পাখি আবাস গড়তে ভালোবাসে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর