২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:০৪

জমে উঠেছে ধানের চারার হাট, হতে পারে ২ কোটি টাকার বেচা-কেনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

জমে উঠেছে ধানের চারার হাট, হতে পারে ২ কোটি টাকার বেচা-কেনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকায় চলতি আমন মৌসুমে জমে উঠেছে ধানের চারার হাট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত থাকে হাটটি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশ জেলা থেকে কৃষকরা আসেন এই হাটে ধানের চারা কিনতে। প্রতিদিন প্রায় ৮ লাখ টাকার চারা বিক্রি করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নন্দনপুরের এই ধানের চারার হাটটি বেশ পুরাতন। আমন  মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত থাকে এই হাটটি। 

সরজমিনে দেখা গেছে, ক্রেতারা তাদের পছন্দসই ধানের চারা কিনছেন। বিক্রেতারাও প্রকারভেদে দাম চাচ্ছেন। ধানের চারা আঁটি ভেদে বিক্রি করা হয়। চারার আঁটি প্রকারভেদে ৭০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আঁটি প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি করা হয়।

এবার এই হাটে বিআর-২২, খাসা, নাজির, ও বিনা ধান-৭ এর চারা বেশি বিক্রি হচ্ছে। সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মো. সফর মিয়া বলেন, বিআর-২২ জাতের ২০ আটি চারা ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি।  এই চারা দিয়ে ১ কানি (৩০শতাংশ) জমি রোপন করতে পারব। গত বছরের তুলনায় এই বছর চারার দাম একটু বেশি। 

ধানের চারা কিনতে আসা জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট  ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের স্বপন মিয়া বলেন, আমি গত কয়েক বছর ধরে আমার ৬ কানি জমিতে রোপন করার জন্য এই বাজার থেকেই চারা কিনি। বিআর-২২ জাতের ২৮ আটি চারা ২ হাহার ৮২০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এই চারা দিয়ে দেড় কানি জমি রোপন করতে পারবো।

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা থেকে আসা কৃষক রমিজ মিয়া জানান, দুই কানি জমির জন্য চারা কিনবেন। প্রকার ভেদে ছোট চারা প্রতি আঁটি ৮০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আটি ২০০-২৫০ টাকা দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। মহাসড়কের পাশে বাজারটি হওয়ায় যানবাহনও সহজে পাওয়া যায়।

হাটে চারা বিক্রি করতে আসা সদর উপজেলার হারিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার ২ কানি জমিতে ধানের বীজতলা করেছি। চারা ভালো দামেই বিক্রি করছি। ছোট চারা আটি ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এই হাটে বিআর-২২, খাসা, বিনা ধান-৭সহ বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বিক্রি হয়। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, নন্দনপুরের এই অস্থায়ী হাটে ধানের চারা বেচা-বিক্রি হয়। মান সম্মত চারা পাওয়া যাওয়ায়ম আশপাশ জেলা থেকেই কৃষকরা আসেন চারা কিনতে। উন্নত বীজতলা তৈরীর জন্য আমরা কয়েকজন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে। এই বাজারে প্রতিদিন ৮/ ১০ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়। এবছর এই হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার চারা বিক্রি হবে বলে আশা করি।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

সর্বশেষ খবর