২৭ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:২১

এবার আলু উৎপাদনে একর প্রতি খরচ বাড়বে অনেক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

এবার আলু উৎপাদনে একর প্রতি খরচ বাড়বে অনেক

ফাইল ছবি

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার আলু চাষি নজরুল ইসলাম বুলবুল প্রতি বছর ৪/৫ একর জমিতে আলুর আবাদ করেন। কৃষক পর্যায়ে আলুর দাম না বাড়ায় মৌসুমের প্রথমেই আলু বিক্রি করে ফেলেন তিনি। ফলে আলুর বাড়তি দাম পাননি। এ নিয়ে তার আক্ষেপ রয়েছে। 

আর কয়দিন পরেই আলু রোপনের মৌসুম পুরোপুরি শুরু হবে। তিনি চিন্তিত বীজসহ অন্যান্য উপকরণের দাম যে ভাবে বাড়ছে তাতে এবার উৎপাদন খরচ অনেক বেশি পড়বে। তার মত অনেকেই এবার আলুর উৎপাদনের বাড়তি খরচ নিয়ে চিন্তিত। 

জানা গেছে, সরকারি, বেসরকারি ও কৃষক পর্যায় তিন পর্যায়ে বেড়েছে আলু বীজের দাম। এবার প্রতি কেজি আলু বীজ সরকারিভাবে ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির আলুর বীজ প্রকার ভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। বেড়েছে সার, কীটনাশকের দাম। এছাড়া কৃষি শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। ফলে একর প্রতি ১০ খেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ বাড়তে পারে এই মৌসুমে। এছাড়া সরকারি অনুমোদিত যেসব কোম্পানি বীজ আলু বিক্রি করেছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, এবার তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। 

জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় প্রতি বছর ১ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আলুর আবাদ হয়ে থাকে। মোট আবাদের ৩০ শতাংশ আলু বীজের প্রয়োজন হয়। সেই হিসেবে রংপুর অঞ্চলে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টনের মত বীজের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে বিএডিসি সরবরাহ করতে পারে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন। বড়-বড় কৃষক রোপনের বীজ আলু নিজেদের সংগ্রহে রাখলেও ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বীজ আলু ব্যবসায়ী পর্যায়ে সংগ্রহ করতে হয় কৃষকদের। তাই বীজ নিয়েও চিন্তিত রয়েছে কৃষকরা।  

এছাড়া চাহিদার মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বীজ আলু হিমাগারে সংরক্ষণ হয়ে থাকলেও এবার বেশি দাম পেয়ে অনেকেই বীজ আলু হিমাগার থেকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে বীজেরও সংকট দেখা দিতে পারে। জমি চাষ ও শ্রমিকদের মজুরিও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এটা কৃষকদের কাছে বাড়তি খরচ। এছাড়া সার ও কিটনাশকের দামও গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। কৃষকরা বলেন, আলু চাষের জন্য বীজসহ সব ধরণের উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার একর প্রতি খরচ বাড়বে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। 

রংপুর  বিএডিস (বীজ বিপণন) উপ-পরিচালক মো. মাসুদ সুলতান বলেন, বিএডিস রংপুর অঞ্চলে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত বীজ আলু সরবরাহ করতে পারে। বাকি বীজ কৃষকরা স্থানীয় ভাবে সংগ্রহ করেন।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

সর্বশেষ খবর