৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:৪৭

রোপা আমনের বাম্পার ফলন খুশিতে কৃষক হাসে

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

রোপা আমনের বাম্পার ফলন খুশিতে কৃষক হাসে
চলতি মৌসুমে মৌলভীবাজরের শ্রীমঙ্গলে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী আমন ধান। আর আমনের এই দোলা দেখে খুশিতে হাসছে কৃষক। আর কয়েক দিন পরই শুরু হবে ধান কাটার ধুম। গোলায় উঠবে সফল। দুর হবে কৃষকের দুঃখ কষ্ট। এবার আমনের ফলন দেখে এমন আশায়ই বুক বেঁধে আছেন কৃষকরা। 
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৫ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৩৭৫ হেক্টর। এর মধ্য পাঁচ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের বারি হাইব্রিড-৬, হীরা-১০, এজেড-৭০০৬ ও সুবর্ণ-৮ চাষ করা হয়। ১৫ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বিআর-১১, ১২, ব্রি ধান-৩২, ৩৪, ৪৯, ৫১, ৭১, ৭৫, ৮৭, ৯৩, ৯৪, ৯৫, বিনা-৭, ১১, ১৬,  ও ১৭ এছাড়া ২৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের  বিরুইন, বালাম, কালিজিরা ও চিনিগুড়া ধান চাষ করা হয়। আর উৎপাদন লক্ষামাত্র ধরা হয় ৪৫ হাজার ৬৩৪ মে.টন (চাল)। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য আমন মৌসুমে ১১৫০ জন কৃষককে সরকারি প্রনোদনা (বীজ ও সার) দেয়া হয়েছে।
 
সরজমিনে দেখা যায়, মাঠে আমন ধান পাকতে শুরু হয়েছে। কোন মাঠে ধান পেকে সোনালী রং ছড়াচ্ছে। আবার কোন মাঠ থেকে গন্ধ বের হচ্ছে সুগন্ধি ধানের। কৃষকরা আইলে দাঁড়িয়ে দেখছেন পাকা ধান। কেউ পাখি তাড়াচ্ছেন, কেউ তাড়াচ্ছেন গবাদিপশু। কৃষকরা প্রহর গুনছেন কাস্তে হাতে মাঠে নামার। সবার মনেই উৎসবের আমেজ।
আশিদ্রোন ইউনিয়নের খুশবাস গ্রামের কৃষক শাকির আহম্মেদ জানান, তিনি চার একর জমিতে তিন জাতের আমন ধান রোপন করেছেন। ফলন ভাল হয়েছে। পনের বিশ দিন পরেই ধান কাটা শুরু করবেন। সব মিলে ১৫২ মন ধান পবেন বলে আশা করছেন।
কালাপুর ইউনিয়নের হাজীপু গ্রামের কৃষক কাজী রুহেল জানান, তিনি পাঁচ একর জমিতে আনম চাষ করেছেন। এক একরে চিনিগুড়া ও চার একরে রঞ্জিত জাত। অন্য বছরের তুলনায় এবার ভাল ফলন হয়েছে। প্রায় ১০ টন ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, এবছর আমন মৌসুমে বৃষ্টিপাত বেশী হয়েছে। মাঠে রোগ বালাই কম ছিল। যখনই প্রয়োজন হয়েছে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছিল। সব মিলিয়ে ফলন ভাল হয়েছে। আশা করছি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র অর্জন হবে।
 
বিডি প্রতিদিন/এএ

সর্বশেষ খবর