১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:২৪

বিলুপ্তির পথে মৌমাছি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বিলুপ্তির পথে মৌমাছি

লালমনিরহাটের গ্রামীণ জনপদে এক সময় অনেক মৌমাছির মৌচাকের দেখা মিললেও এখন তা প্রায় অধরা। জেলা শহরের মতো গ্রামগঞ্জেও নগরায়ন-শিল্পায়নের কারণে বড় বড় গাছ ঝোপ-জঙ্গল উজার করার ফলে প্রজননের পরিবেশ এবং আবাসন সমস্যার কারণে মৌমাছি ও মৌচাক প্রায় বিলুপ্তি হচ্ছে।

রবিশস্য ও মৌসুমি ফুলে হাজারো মৌমাছির বিচরণসহ  ফুল থেকে রস আহরণের প্রতিযোগিতা দেখা যেত এক সময়। মুখে রস নিয়ে মৌমাছি যায় তার আপন গন্তব্যে। মানুষের কাছে যার নাম মৌচাক বলে পরিচিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অধিক তাপমাত্রা, চাক বাঁধার প্রতিকূল পরিবেশ ও যত্রতত্র অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার বন-জঙ্গল উজার করার ফলে মৌমাছি বিলুপ্তির প্রধান কারণ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের হরিপদ রায় হরি, ধাইরখাতা গ্রামের রশিদুল ইসলাম রিপন, চরখাটামারী গ্রামের এস এম হাসান আলী বলেন, এখন আর মৌচাক তেমন দেখা যায় না। ভালো ফল ও ফসল উৎপাদনসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মৌমাছি সংরক্ষণ করা জরুরি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে তিন প্রজাতির মৌমাছির দেখা মেলে। বড় বড় গাছ ও দালানের কার্নিশে পাহাড়িয়া মৌমাছি চাক বাঁধে। খুদে মৌমাছি বন-বাদাড়ে ছোট ছোট গাছে এবং খুড়েল বড় বড় গাছের কুঠুরিতে বাসা বাঁধে। প্রকৃতির মাঝ থেকে বড় বড় গাছ দিন দিন কেটে ফেলা, ভবন মালিকরা ভীতি থেকে মৌমাছি তাড়িয়ে দেওয়া, অপরিকল্পিতভাবে মধু সংগ্রহ করার সময় ধোঁয়া ও আগুনের আঁচ দিয়ে মৌমাছি তাড়াতে গিয়ে তা মেরে ফেলায় আজ হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছি। মৌমাছি বিলুপ্ত হতে থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফল ও ফসল উৎপাদনে। ফুলগাছ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, মৌমাছি ও পোকা মাকড় পরাগায়নে সহায়তা করে। ফুলের রস আহরণ করে জীবন ধারণ করে এবং উপহার দেয় মধু। এগুলো না থাকলে প্রাণী ও উদ্ভিদ জগত ধ্বংস হবে। মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীরও ক্ষতি হবে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায় বলেন, মধু একটি পুষ্টিকর খাবার, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক কথায় মধু ঔষুধি গুণাগুণে অতুলনীয়।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর