১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:৫১

ফুটেছে দুর্লভ হিমঝুরি ফুল

নজরুল মৃধা, রংপুর

ফুটেছে দুর্লভ হিমঝুরি ফুল

সুনিবিড় ছায়াঘেরা রংপুর কারমাইকেল কলেজ। ১০৭ বছর আগে প্রায় ৯০০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটি। এখানে রয়েছে দুর্লভ কাইজেলিয়া গাছসহ বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য গাছ। তেমনি একটি গাছের নাম হচ্ছে হিমঝুরি। বিরল এই গাছটি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে কারমাইকেল কলেজ চত্বরে হিমঝুরির একটি গাছ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এই দুর্লভ গাছে ফুল ফুটেছে। এই গাছের ফুল দেখতে রাতেই বেশ কয়েকজন বৃক্ষপ্রেমী জড়ো হন কারমাইকেল কলেজে। কারণ এই ফুল ভোরের আগেই ঝরে পড়ে। 

জানা গেছে, হিমঝুরি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্থানীয় গাছ। এটি মিয়ানমারের নিজস্ব গাছ হলেও আমাদের দেশে এসেছে প্রায় দু’শো বছর আগে। হিমঝুরি সুউচ্চ চিরসবুজ বৃক্ষ। খাড়া ডালপালায় নোয়ানো আগা, ছোটখাটো ডালের মতো সরু পত্রিকাবহুল পক্ষাকার যৌগপত্র। ফুল মধুগন্ধী। এই গাছের ফুল ফোটে রাতের বেলা। ভোরের আগেই ঝরে পড়ে। ফুলগুলো সাদা ও নলাকার। নলমুখে বসানো থাকে পাঁচটি খুদে পাপড়ির একটি তারা। ফাঁকে ফাঁকে আছে পাঁচটি পরাগধনী। সাদা বা হলুদ গর্ভকেশরযুক্ত। ফল হয় সরু এবং লম্বা, আগা ও গোড়া ছুঁচালো থাকে এবং সরু সরু পক্ষল বীজে ভরাট থাকে। এক ফুট বা ততোধিক দীর্ঘ হয়ে থাকে। বীজগুলো ঈষৎ স্বচ্ছ পাখনাঘেরা। এই গাছ ছায়াঘন নয় এবং শিকড় অগভীর হওয়ায় ঝড়ে উপড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। বীজ ছাড়াও গাছের শিকড় থেকে গজানো চারা থেকেই বংশ বিস্তার করে থাকে এই গাছটি। এই গাছের কাঠ নরম, হালকা, হলুদ, মসৃণ এবং আসবাব তৈরির উপযোগী। ইন্দোনেশিয়ায় এ গাছের বাকলের তেতো রস থেকে জ্বরের ওষুধ বানানো হয়।
  
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, এই গাছের ফুল রাতে ফোটে। সকাল হলেই ঝরে যায়। তাই যখন খবর পেলাম হিমঝুরি গাছে ফুল ফুটেছে। তখনই বেশ কয়েকজন প্রকৃতি প্রেমী নিয়ে কলেজ চত্বরে গিয়ে ফুল দেখলাম এবং ছবিও তুললাম। এটি একটি দুর্লভ প্রজাতির বৃক্ষ। 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর