১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:৪৩

তরমুজ চাষিদের স্বপ্নে ‘মিধিলি’র থাবা

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

তরমুজ চাষিদের স্বপ্নে ‘মিধিলি’র থাবা

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র হানা পড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তরমুজ চাষিদের স্বপ্নে। আগাম তরমুজ বাজারে বিক্রি করবে। এমন আশা নিয়েই ধার দেনা করে কৃষকরা উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মেরাওপাড়া ও চিঙ্গুরিয়া গ্রামে চাষাবাদ শুরু করেন। জমিতে রিংবেরি, ড্রেন, থানা ও সার ঔষধ দিয়ে সাজিয়ে ছিলো। এমনকি বীজ ফুটিয়ে রোপণের উপযোগীও করেছিলেন তারা। কিন্তু মিধিলি’র প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে সব ক্ষেত। এতে তাদের কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে এমনটাই দাবি করেন তরমুজ চাষিরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তর লালুয়া লঞ্চঘাট থেকে মেরাওপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১০০ একর জমিতে আগাম তরমুজ চাষাবাদ শুরু করে কৃষকরা। বীজও রোপণ করেছিলো অনেকে। সবকিছুই ছিলো ঠিকঠাক। ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মুহূর্তেই সব স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে কৃষকদের। ক্ষেত তলিয়ে রয়েছে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদীর পানিতে। বর্তমানে পানি নিষ্কাশনসহ জমি তৈরিতে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চাষিরা। এখন ধার দেনা শোধের দুঃশ্চিন্তার যেন শেষ নেই তাদের।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আগাম তরমুজ চাষ শুরু করেছিল কৃষকরা। এরমধ্যে লালুয়া ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে এ চাষাবাদ শুরু হয় বলে লালুয়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত কৃষি অফিসার মো.জামাল হোসেন জানান।

মেরাওপাড়া গ্রামের তরমুজ চাষী সাঈদ হাওলাদার বলেন, তিনি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকায় অন্যের জমি লিজ নিয়ে প্রায় ১৯ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। প্রতি ১০০ গ্রাম বীজ ৭ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যে মোট ২ কেজি ২০০ গ্রাম বীজ ক্ষেতে রোপণের জন্য তৈরি করে। সর্বশেষ ক্ষেত সাজাতে তার প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। মিধিলি’র প্রভাবে তার তরমুজ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা তাদের দুষ্কর হবে বলে এ কৃষক জানান।

একই কথা বলেছেন চিংগুড়িয়া গ্রামের সম্রাট খাঁন, শাহিন হাওলাদার, গিয়াস মোল্লাসহ আরো অনেক তরমুজ চাষিরা।
 
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, তরমুজ চাষিরা তাদের দুঃখের কথা জানালে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। মিধিলি’র প্রভাবে ওইসব তরমুজ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে সহায়তা পেলে এসকল কৃষকরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি অফিসার এ আর এম সাইফুল্লহ বলেন, মিধিলি’র প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য আমাদের ফিল্ড অফিসাররা মাঠে কাজ করছেন।

 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর