২০ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:৪৩

মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে শসা চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কৃষক জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন তরুণ। তারা মাত্র ৩০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করে এক মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চিনিপাড়া গ্রামের স্মার্ট কৃষকরা। তাদের একজন জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলম চিনিপাড়া গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে। ছোট ব্যবসার পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে মাত্র ৩০ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করে চমক লাগিয়ে দিয়েছেন। মাত্র ৪০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে ৩০ শতাংশ জমির জন্য।

সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিউটি রাণী বৈরাগী জানান, তিনি নিয়মিত জাহাঙ্গীর আলমের শসা খেত পরিদর্শন করে সঠিক সময়ে কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। যে কারণে শসার ফলন তুলে লাভবান হচ্ছেন ওই কৃষক। তার ব্লকের ৫ হাজারের অধিক কৃষকের মধ্যে ২ হাজার নারী ও ৩ হাজার পুরুষ কৃষক রয়েছেন। চাষি জাহাঙ্গীর বলেন, মালচিং পদ্ধতি আমার ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে। এ পদ্ধতিতে মাত্র ২০-২৫ দিনের মধ্যে শসা তুলে বাজারজাত করা যায়। আমি এর সুফল পেয়েছি। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকা আমার আয় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি অভাবনীয় সাফল্য। মাত্র ৩০ শতাংশ জমি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার টাকা শসা বিক্রি করে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। তার মতো অন্য কৃষকদের মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষের বার্তা দেন কৃষি কর্মকর্তারা। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান জানান, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় ২৯ হাজার হেক্টর জমির সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। অর্জন হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে শসা চাষ হয়েছে। অন্য জমিগুলোতে শিম, করলা, টমেটো, বেগুন চাষ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর