২১ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৪

তিস্তা প্রকল্পের সেচ সুবিধার আওতায় আসছে লক্ষাধিক কৃষক

নীলফামারী প্রতিনিধি

তিস্তা প্রকল্পের সেচ সুবিধার আওতায় আসছে লক্ষাধিক কৃষক

দেশের বৃহত্তম তিস্তা সেচ প্রকল্পের ১ লাখ ৪ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে ৭১২ কিলোমিটার ক্যানেল মেরামত কাজ। ইতোমধ্যে অনুপযোগী অনেক ক্যানেল সচল করে দেয়া শুরু হয়েছে সেচ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে অতিরিক্ত শস্য উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়বে মানুষের জীবনমান।

  
শুষ্ক মৌসুমেও তিস্তা নদীতে ২৫০০ কিউসেক পানি পাওয়া যায়। এই পানি দিয়ে তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকার ৩ জেলার ১২টি উপজেলায় ১৫ লাখ কৃষককে সেচ দেয়া সম্ভব। কিন্তু অনেক স্থানে সেচ ক্যানেল ব্যবহার অনুপযোগী, বিলিন কিংবা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি এতদিন। 
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুর্নবাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয় ৭১২ কিলোমিটার ক্যানেল মেরামত ও নতুন ক্যানেল তৈরির কাজ। যা বাস্তবায়নে চলছে দ্রুত গতির কাজ। অনেক স্থানে মেরামত কাজ শেষ হওয়ায় ইতোমধ্যে সেচ সুবিধা পেতে শুরু করেছেন কৃষকরা। 

তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ১২টি উপজেলার ৪১সমিতির ২৫২টি গ্রুপের মাধ্যমে ১৫ লাখ কৃষক এই সেচ সুবিধার আওতায় রয়েছেন। ১৪শ কোটি ৫২ লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা পাওয়ায় হাসি ফুটবে লাখ লাখ কৃষকের মুখে। 

কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ভাঙ্গাচোরা ও বিলিন হয়ে যাওয়া ক্যানেল সচল হওয়ায় হাতের নাগালে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এরফলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ অর্ধেকে নেমে আসা এমনকি এক ফসলী জমিতে তিনটি ফসল ফলানো সম্ভব হবে।

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বছরে অতিরিক্ত ১ হাজার কোটি টাকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৩০ লাখ মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। এছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের উন্নতির পাশাপাশি রক্ষা হবে জীব বৈচিত্র। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর