২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৯

গোপালগঞ্জে ব্রি ধান-১০৩ এর ফসল কর্তন উৎসব

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে ব্রি ধান-১০৩ এর ফসল কর্তন উৎসব

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধানের নতুন জাত ব্রি ধান-১০৩ এর ফসল কর্তন উৎসব ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের কৃষক মো. আরজ আলী খন্দকারের জমিতে উৎপাদিত ব্রি ধান-১০৩ কেটে ফসল কর্তণ উৎসব করা হয়। 

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)  গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন  বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি)  পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ।
(ব্রি)  গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে ব্রি’র সাইন্টিফিক অফিসার সৃজন চন্দ্র দাস, মো. খালিদ হাসান তারেক,  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পার্বতী বৈরাগী,  কৃষক আরজ আলী খন্দকার সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। 

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. আব্দুল লতিফ  বলেন, ব্রি ধান-১০৩ এ আধুনিক উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ধানের দানা লম্বা ও চিকন। ১ হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩ দশমিক ৭ গ্রাম। এ ধানের প্রোটিন এবং অ্যামাইলোজের পরিমাণ যথাক্রমে ৮.৩ শতাংশ এবং ২৪ শতাংশ। প্রতি হেক্টরে এ জাতটির গড় ফলন ৬.২ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে প্রতি হেক্টরে ৭.৯৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের গড় জীবনকাল ১৩০ দিন (১২৮-১৩৩ দিন)। গত বছর এ ধানের জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। এ বছর কৃষকের মাঠে  আমন সৌসুমে এ ধান সবচেয়ে বেশি ফলন দিয়েছে। এ ধান চাষাবাদ করে কৃষক ১ ফসলী জমিকে ২ ফসলী ও ২ ফসলী জমিকে ৩ ফসলী জমিতে পরিনত করতে পারেন। ফসলের নীবিড়তা বৃদ্ধি করে কৃষক লাভবান হবেন।  গোপালগঞ্জে এ জাতের ধান হেক্টরে ৬ টনের ওপরে ফলন দিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। 

কৃষক সমাবেশে  গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া ও বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার শতাধিক কৃষক এবং কৃষাণী অংশ নেন।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর